নয়াদিল্লি: আজ বিজেপি-র (BJP) ৪২ তম প্রতিষ্ঠা দিবস। দিল্লিতে দলের সদর দফতরে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (Syama Prasad Mukherjee) ও দীনদয়াল উপাধ্যায়ের (Deendayal Upadhyaya) মূর্তিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (JP Nadda)। দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে ভিডিও কনফারেন্সে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)।
এরপর করোলবাগ থেকে জে পি নাড্ডার নেতৃত্বে পদযাত্রা। প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আগামী ১৫ দিন প্রতিটি রাজ্যে নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে বিজেপি।
ভারত মানবতার পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে, বললেন নরেন্দ্র মোদি
নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘এবারের প্রতিষ্ঠা দিবস তিনটি কারণে খুব গুরুত্বপূর্ণ। এবার স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবের বছর। চার রাজ্যে জয় বিজেপি-র দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। বিজেপি-র প্রত্যেক কর্মী দেশের স্বপ্নপূরণের প্রতিনিধি। রাজ্যসভায় প্রথম কোনও দলের ১০০ প্রতিনিধি। দেশের সঙ্কল্পের সঙ্গে নিরন্তর জুড়ে থাকতে হবে। দেশের জন্য নিজেকে উজাড় করে দিতে হবে। একসময় মানুষ ভাবত, সরকারে যেই আসুক কোনও উন্নতি হবে না। আজ মানুষ বলছে, দেশ বদলে যাচ্ছে। গোটা বিশ্ব এখন দুই ভাগে বিভক্ত। কিন্তু ভারত মানবতার পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। করোনাকালে গোটা দুনিয়া দেখেছে, ৮০ কোটি গরিব মানুষকে ভারত বিনামূল্যে রেশন দিয়েছে। রফতানিতে দেশ ৩০ লক্ষ কোটির লক্ষ্যপূরণ করেছে।’
বিরোধীদের আক্রমণ নরেন্দ্র মোদির
বিরোধীদের আক্রমণ করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘দেশের উন্নতির জন্য আমরা দিনরাত পরিশ্রম করছি। জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলি ১০০ শতাংশ পূরণ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছি। প্রান্তিক মানুষের কাছেও সরকারি প্রকল্প পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের দেশে কিছু রাজনৈতিক দল ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করে এসেছে। মিথ্যে প্রতিশ্রুতি, দুর্নীতি করে ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করা হয়েছে। মিথ্যে প্রতিশ্রুতি, দুর্নীতি করে ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করা হয়েছে। মানুষের জন্য কাজ করাই বিজেপির প্রথম উদ্দেশ্য। গত কয়েকটি নির্বাচনে বিজেপি-র জয়ের কারিগর ছিলেন মহিলারা। দেশ মহিলাদের নতুন ক্ষমতা দিয়েছে। মহিলাদের স্বাস্থ্য থেকে রান্নাঘর, রেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ‘দেশের উন্নতিতে মহিলাদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। আমাদের জন্য রাজনীতি ও রাষ্ট্রনীতি একসঙ্গে চলে। কিন্তু এখনও দেশে দুই ধরনের রাজনীতি চলে। এক রাজনীতি হল পরিবারতান্ত্রিক, অপর রাজনীতি হল রাষ্ট্রনীতি। এই পরিবারতান্ত্রিক দলগুলি দেশের যুবশক্তির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। দেশের উন্নয়নের সঙ্গে আপস করে দুর্নীতি করেছে। পরিবারতান্ত্রিক দলগুলি সংবিধান বোঝে না। পরিবারতান্ত্রিক দলগুলির বিরুদ্ধে বিজেপি লড়াই চালিয়ে যাবে। সেই সব দলগুলিকে না হারানো পর্যন্ত লড়াই চলবে।’