নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দু’দিনের বাংলাদেশ সফরের অন্যতম আকর্ষণ হতে চলেছে ‘মুজিব জ্যাকেট’। আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশ যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। ২৬ ও ২৭ তারিখ তাঁর বাংলাদেশে থাকার কথা। তার আগেই খাদি ও গ্রামোদ্যোগ কমিশনের পক্ষ থেকে ঢাকার ভারতীয় হাই কমিশনে ১০০টি ‘মুজিব জ্যাকেট’ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে আধিকারিকরা ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন, তাঁরা এই জ্যাকেট পরে থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।


খাদি ও গ্রামোদ্যোগ কমিশনের চেয়ারম্যান বিনয় কুমার সাক্সেনা জানিয়েছেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে এবার মুজিব বর্ষ পালন করছে বাংলাদেশ। সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের আগে ঢাকার ভারতীয় হাই কমিশনের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ১০০টি মুজিব জ্যাকেটের অর্ডার দেওয়া হয়।’


বাংলাদেশে ‘মুজিব জ্যাকেট’ অত্যন্ত জনপ্রিয়। প্রবীণ ব্যক্তিদের কাছে এই জ্যাকেট বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতীক। নতুন প্রজন্মের কাছেও ফ্যাশন স্টেটমেন্ট হয়ে উঠেছে এই মুজিব জ্যাকেট।


মোদি বরাবরই খাদির জ্যাকেট পরার জন্য বিখ্যাত। এই  জ্যাকেট তাঁর স্টাইল স্টেটমেন্ট হয়ে উঠেছে। বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ‘মোদি জ্যাকেট’। ২০১৬ সালে গোয়ায় ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দেওয়া রাষ্ট্রনেতারা খাদির জ্যাকেট পরেছিলেন। এবার মোদির বাংলাদেশ সফরেও আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকবে খাদির জ্যাকেট।


খাদি ও গ্রামোদ্যোগ কমিশনের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বরাবরই কূটনৈতিক সফরে খাদিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন। মহাত্মা গাঁধীর উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যই খাদির পোশাক পরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বিদেশ সফরে যাওয়ার সময় সঙ্গে রাখেন খাদির তৈরি রুমাল এবং তা উপহার হিসেবে দেন। মুজিব জ্যাকেট বাংলাদেশে ঐতিহাসিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। এটা অত্যন্ত গর্বের বিষয় যে, প্রধানমন্ত্রী মোদির বাংলাদেশ সফরের সময় এই খাদির জ্যাকেট পরা হবে। খাদির সবচেয়ে বড় ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার প্রধানমন্ত্রী মোদি। তাঁর বাংলাদেশ সফরে খাদির মুজিব জ্যাকেট ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। এর মাধ্যমে সারা বিশ্বে এবং কূটনৈতিক মহলে খাদিকে তুলে ধরা যাবে।’