নয়াদিল্লি: ‘আমাদের বিজ্ঞানীরা মেড ইন ইন্ডিয়া ভ্যাকসিন বানিয়েছেন। ১ বছরের মধ্যে  ভ্যাকসিন বানিয়েছেন দেশের  বিজ্ঞানীরা। ভ্যাকসিন বানিয়ে দেশকে তাঁরা আত্মনির্ভর করেছেন। ’ সিএসআইআর-এর বার্ষিক অনুষ্ঠানে মন্তব্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র  মোদির। এদিন সিএসআইআর সোস্যাইটির ভার্চুয়াল বৈঠকে সভাপতিত্ব করতে গিয়ে এ কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, করোনার দাপট সমগ্র বিশ্বজুড়েই ছড়িয়েছে। সমগ্র বিশ্বের সামনেই এই ভাইরাসের মোকাবিলা একটা বড়সড় চ্যালঞ্জ। চলতি শতাব্দীতে বিশ্বের কাছে এটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেছেন, কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী রয়েছে যে, যখনই মানব সমাজ বিপন্ন হয়েছে, তখনই ত্রাতার ভূমিকায় এসে দাঁডিয়েছে বিজ্ঞান। সমস্ত সংকটের সময়েই আরও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথ তৈরি করে দিয়েছে বিজ্ঞান।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, বিগত শতাব্দীর অভিজ্ঞতা বলছে, বিশ্বের অন্য দেশে কোনও কিছুর আবিষ্কার যখন হয়েছে, তার সুফল পেতে ভারতকে বেশ কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হত। কিন্তু এখন আমাদের দেশের বিজ্ঞানীরা অন্যান্য দেশের বিজ্ঞানীদের সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে চলেন। অন্যান্য দেশের বিজ্ঞানীদের মতোই দ্রুতগতিতে কাজ করতে সক্ষম এ দেশের বিজ্ঞানীরা। আর এক বছরের মধ্যেই ভারতীয় বিজ্ঞানীরা মেড ইন ইন্ডিয়া করোনা ভ্যাকসিন বানিয়েছেন। 
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আজ ভারত সার্বিক বিকাশ ও পরিচ্ছন্ন শক্তি সংক্রান্ত বিষয়ে পথপ্রদর্শকের ভূমিকা নিয়েছে। সফটওয়্যার থেকে স্যাটেলাইট পর্যন্ত-সমস্ত বিষয়ে অন্য দেশের উন্নয়নেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। সারা বিশ্বের উন্নয়নেই অগ্রপথিকের ভূমিকা গ্রহণ করেছে ভারত। 
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, এখন ভারত কৃষি থেকে মহাকাশ বিদ্যা, ভ্যাকসিন থেকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, বায়োটেকনোলজি থেকে অন্যান্য প্রযুক্তি, সমস্ত ক্ষেত্রেই আত্মনির্ভর ও সক্ষম হতে চায়। করোনার চলতি সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে এর গতি কিছুটা কমলেও এখনও দেশের সংকল্প আত্মনির্ভর ভারত, সশক্ত ভারত।


প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিজ্ঞানীদের কাছে দেশের প্রত্যাশা বিপুল। তাঁদের দেশের সমস্যা মোকাবিলা ও স্বপ্ন পূরণ করার মতো রসদ রয়েছে। উল্লেখ্য,  সিএসআইআর সোসাইটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের আওতাধীন বৈজ্ঞানিক ও শিল্প সংক্রান্ত গবেষণা বিভাগের একটি অংশ।