নয়াদিল্লি: করোনা পরিস্থিতি নিয়ে দেশের ছয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, কেরল, ওড়িশা ও মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে পর্যালোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী। এই রাজ্যগুলির বিভিন্ন জেলাগুলিতে সাম্প্রতিক অতীতে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা বেড়েছে বা সাম্প্রতিক অতীতে আক্রান্তর সংখ্যা কমেনি। 


প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই রাজ্যগুলিতে গত জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মতো একই ধরনের পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে। গত এপ্রিলের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতিতে এড়াতে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে এবং আরও বেশি করে পরীক্ষা ও টিকাপ্রদানের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। 


প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, যে রাজ্যগুলিতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বেশি, সেই রাজ্যগুলিকে করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় অতিসক্রিয়তার সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে হবে। পরীক্ষা, রোগী চিহ্নিত করা-চিকিৎসা-টিকাদানের ওপর গুরুত্ব দিয়ে এক্ষেত্রে এগোতে হবে।


প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কেন্দ্র করোনা মোকাবিলায় ২৩ হাজার কোটি টাকার আপৎকালীন প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গড়ে তুলতে এবং পরিকাঠামোর ফাঁকফোকর ঢাকতে রাজ্যগুলি এই তহবিল ব্যবহার করতে হবে। গ্রামীণ এলাকাগুলিতে বিশেষ নজর দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।  


উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে যে ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা হয়েছে, এই রাজ্যগুলিকেও সে ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের পথে হাঁটতে হবে। এক্ষেত্রে পুরো রাজ্য বা শহরে লকডাউন জারির পরিবর্তে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন গড়ে তোলার ব্যাপারে গুরুত্ব দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ এলাকাগুলিতে চিহ্নিতকরণের বিষয়টি আরও গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ভারতে করোনার তৃতীয় ঢেউ রুখতে টিকাপ্রদানের কাজে গতি আনতে হবে। 


প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়েছেন যে, তৃতীয় ঢেউয়ের প্রভাব শিশুদের ওপর পড়তে পারে। রাজ্যগুলির এ ক্ষেত্রে চিকিৎসার বন্দোবস্ত প্রস্তুত রাখতে হবে। সেইসঙ্গে সচেতনতা বৃদ্ধি ও শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার ওপর জোর দিতে হবে। 



এর আগে সরকার জানিয়েছিল যে, জুলাইতে এখনও পর্যন্ত নতুন করোনা আক্রান্তদের ৭৩.৪ শতাংশই কেরল, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু,অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশায়।