নয়াদিল্লি: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধী ও সমর্থকদের সংঘর্ষে উত্তাল রাজধানী দিল্লি। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। যদিও দিল্লির অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ে নীরবই ছিলেন তিনি। অবশেষে বুধবার সেই নীরবতা ভাঙলেন নরেন্দ্র মোদি। দিল্লিবাসীকে শান্তি ও সৌভ্রাতৃত্ব বজায় রাখার আর্জি জানালেন প্রধানমন্ত্রী।

বুধবার মোদি পরপর দুটি ট্যুইট করেন। লেখেন, ‘শান্তি এবং সম্প্রীতি আমাদের সংস্কৃতির মূল দর্শন। দিল্লির ভাই-বোনেদের কাছে আমার অনুরোধ, সর্বদা শান্তি এবং সৌভ্রাতৃত্ব বজায় রাখুন। যত দ্রুত সম্ভব দিল্লিতে শান্তি এবং স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসাটা জরুরি।’

গত তিন দিন ধরে দিল্লিতে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। তবে মোদিকে ব্যস্ত থাকতে দেখা গিয়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আতিথেয়তায়। ট্রাম্পের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন মোদি। স্বাক্ষরিত হয়েছে প্রতিরক্ষা চুক্তি। তবে সেই সময়ে রাজধানীর পরিস্থিতি নিয়ে কার্যত মৌনব্রত নিয়েছিলেন মোদি। এমনকী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে এমনও অভিযোগ করা হয়েছিল যে, ট্রাম্পের ভারত সফর থেকে নজর ঘোরাতেই অশান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে রাজধানীতে।




বুধবার প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন দিল্লির বিভিন্ন এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন তিনি। মোদি ট্যুইট করেন, ‘দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তের পরস্থিতি খতিয়ে দেখেছি আমি। খুব দ্রুত যাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়, শান্তি ফিরে আসে, তার জন্য পুলিশ এবং অন্য সংস্থাগুলি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় একসঙ্গে কাজ করে চলেছে।’



এর আগে, দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে এ দিন দুপুরেই সাংবাদিক বৈঠক করেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভাপতি সনিয়া গাঁধী। মানুষের মনে ঘৃণা এবং আতঙ্ক ছড়ানোয় সেখানে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে একহাত নেন তিনি।

বুধবারই দিল্লির পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী নামানোর দাবি তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। তিনি ট্যুইট করে লেখেন, ‘সারারাত ব্যাপী প্রচুর মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। পরিস্থিতি ভয়াবহ। হাজার চেষ্টা করেও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে মানুষের মনে বিশ্বাস ফেরাতে পারছে না। এখনই সেনা নামানো উচিত এবং অশান্ত এলাকায় কার্ফু জারি করা উচিত। আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এ নিয়ে চিঠিও লিখছি।’

উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। অশান্ত মৌজপুর, জাফরাবাদ, সিলামপুর ও গোকুলপুরী এলাকায় হিংসা প্রতিরোধের চেষ্টা করে চলেছে প্রশাসন।