নয়াদিল্লি: দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের জেরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাকে ‘সামাজিক জরুরি অবস্থা’র সমান বলে উল্লেখ  করলেন নরেন্দ্র মোদি। এমন পরিস্থিতির জন্য কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি হয়ে উঠেছে বলে অভিমত জানিয়েছেন তিনি।  বুধবার রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে কোভিড ১৯ সংক্রমণ নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী ‘প্রতিটি জীবনকে রক্ষা করা’ই তাঁর সরকারের অগ্রাধিকার বলেও জানান। বলেন, আমাদের সদা সতর্ক,  সজাগ থাকতে  হবে। বৈঠকের  পর জারি হওয়া এক সরকারি বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য, দেশে এপর্যন্ত করোনাভাইরাস সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪৯। আক্রান্তের সংখ্যা ৫১৯৪।

দেশের একাধিক রাজ্য, জেলা প্রশাসন ও বিশেষজ্ঞরা করোনাভাইরাস সংক্রমণের  রাশ টেনে ধরতে ১৪ এপ্রিলের  পরও চলতি লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির পক্ষে সওয়াল করেছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। বিজেডি নেতা পিনাকী মিশ্র বলেন, এক ধাক্কায় লকডাউন তোলার সম্ভাবনা নেই, নেতাদের কাছে স্পষ্ট করে দিয়েছেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলে  দিয়েছেন, লকডাউন উঠছে না, করোনার আগের আর পরের জীবনের চেহারাটা একরকম থাকবে না।

বৈঠকে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক নেতা জানিয়েছেন, মোদি তাঁদের বলেছেন যে, তিনি লকডাউন  তোলা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের  সঙ্গেও আলোচনা করবেন। ১১ এপ্রিল সম্ভবত এই আলোচনা হবে। তখনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে  পারে।

রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ, এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার সহ বিভিন্ন দলের নেতারা বৈঠকে  প্রধানমন্ত্রীকে ফিডব্যাক দেন, পলিসিগত পদক্ষেপ সুপারিশ করেন, ২১ দিনের লকডাউনের পরবর্তী স্তরে কী করা যায়, তা নিয়েও মতামত  দেন।