নয়াদিল্লি: লেফটেন্যান্ট গভর্নরের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল জম্ম-কাশ্মীরের পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষণাবেক্ষণের সরাসরি দায়িত্বে থাকবে কেন্দ্র। তবে, ভূমি বিষয়টি থাকবে স্থানীয় নির্বাচিত সরকারের হাতেই।
শুক্রবারই, জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন বিলে অনুমোদন দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এর ফলে, জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যটি ভেঙে দুটি কেন্দ্র-শাসিত অঞ্চল গঠিত হয়েছে-- জম্মু ও কাশ্মীর ও লাদাখ। আগামী ৩১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে নতুন বিল।
কেন্দ্রের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, ভূমি ও সেই সংক্রান্ত অধিকার-- এই ক্ষমতা থাকবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীরের নির্বাচিত সরকারের হাতেই। অর্থাৎ, ভূমি সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়-- ভূমি অধিকার, জমির মেয়াদ, হস্তান্তর, কৃষি জমি পৃথকীকরণ, ভূমি উন্নয়ন এবং কৃষি ঋণ-- এসব কিছুর সিদ্ধান্ত নেবে স্থানীয় নির্বাচিত সরকার। যেখানে লাদাখে এই ক্ষমতাও থাকবে কেন্দ্রের হাতে। অনেকটা দিল্লির মত। কারণে, দিল্লিতে একইভাবে এই ক্ষমতাও রয়েছে কেন্দ্রের হাতে। সেখানে দিল্লি ডেভেলপমেন্ট অথরিটির মাধ্যমে এই ক্ষমতা ভোগ করেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর।
ওই কেন্দ্রীয় আধিকারিক জানান, প্রথমে জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভার সর্বোচ্চ শক্তি হবে ১০৭। পরে, আসন পুনর্বিন্যাসের ফলে তা বাড়িয়ে করা হবে ১১৪। পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে পড়ায় ২৪টি আসন ফাঁকা থাকবে। অন্যদিকে, লাদাখে কোনও বিধানসভা থাকবে না।