অমৃতসর: কমেডিয়ান হিসেবেই তাঁকে চিনত গোটা দেশ। বিভিন্ন সময় নিজের কমেডির মধ্যে দিয়েই রাজনীতি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের বিভিন্ন দিকগুলোও তুলে ধরতেন। এবার নিজেই রাজনীতিতে নেমে বাজিমাত করেছেন। একইসঙ্গে পাঞ্জাবের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়েও সবার আগেই রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হয়েছে। তাতে দিনের শেষে ৯২টি আসনে এগিয়ে রয়েছে আম আদমি পার্টি। ধুরি থেকে বিজয়ী হয়েছেন ভগবন্ত নিজেও।
কিন্তু জিতেই ভগবন্তের ঘোষণা, নিয়মমাফিক রাজভবনে নয়, পূর্বপুরুষের গ্রাম নওয়ানশহরের খাটকরকলাঁয় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন তিনি। একই ভাবে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ভগবন্তের নাম ঘোষণা হওয়ার পরও চমকে উঠেছিলেন অনেকে। চমক ছিল তাঁর নাম ঘোষণা ঘিরেও। টেলিভোটের মাধ্যমে পাঞ্জাববাসীর ৯৩ শতাংশ ভোট পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হন। তাতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলেন তিনি।
এর আগে পাঞ্জাবের সাঙ্গরুর থেকে দু’বার সাংসদ নির্বাচিত হন ভগবন্ত। লোকসভায় আপের একমাত্র সাংসদও তিনিই। একাধিকবার তাঁকে ‘ছোট ভাই’ হিসেবে সম্বোধন করতে দেখা গিয়েছে কেজরিওয়ালকে। নির্বাচনী হলফনামায় ভাড়াবাড়িতে থাকেন বলে দেখিয়েছিলেন ভগবন্ত। যদিও দেড় কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি দেখিয়েছিলেন।
২০১৭ সালে যেখানে ৭৭টি আসনে জিতে রাজ্যে সরকার গড়েছিল কংগ্রেস। ১১৭-র মধ্যে মাত্র ১৮ আসন পেয়ে ধরাশায়ী কংগ্রেস। বরং সেই তুলনায় পঞ্জাবের রাজনীতিতে আনকোড়া আপের দখলে ৯০ আসন। ১১৭ আসনের পঞ্জাব বিধানসভায় সরকার গড়ার ম্যাজিক সংখ্যা ৫৯। তাই সেখানে আপ সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার দিকেই এগোচ্ছে।