ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: মদন মিত্রর ভোকাল কর্ডের টিউমার অপারেশন শেষ। অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ১০ দিন কথা বলতে বারণ করেছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এদিন অস্ত্রোপচারের পর বেশ কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণে রাখা হয় মদন মিত্রকে (Madan Mitra। এরপর তাঁকে এসএসকেএম-এর উডবার্ন ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়। ইতিমধ্যেই ১০৩ কেবিনে তাঁরা স্থানান্তরিত করা হয়েছে। 


অস্ত্রোপচারের পর মদন মিত্রকে ১০ দিন কথা বলতে বারণ করেছেন চিকিৎসকরা। এদিন দেখা যায় চিকিৎসকের নির্দেশ মেনে তৃণমূল নেতা তথা বিধায়ক মদন মিত্র লিখেই ভাবপ্রকাশ করছেন। লিখে লিখে নিজের বক্তব্য জানাচ্ছেন তিনি। এদিন লিখে তিনি জানান, রাজ্যের মানুষের কাছে তিনি আবেদন করবেন, তাঁরা যেন চিকিৎসার জন্য অন্যত্র না যান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি। এক অনুরাগীর প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, এতদিন তিনি বলেছেন এবার তিনি শুনবেন। রাজনৈতিক জীবনে এটাই তাঁর কার্যকরী পদক্ষেপ বলে লিখে জানিয়েছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আগামী এক সপ্তাহ তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। 



অস্ত্রোপচার করানোর আগে এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কামারহাটির বিধায়ক। তাঁর হাতে ছিল আদ্যা মা। দেখা যায় মদন মিত্রর হাতে নানা ছবি আঁকা। জানালেন গতকাল রাতে নাতি এসে হাতে এঁকে দিয়েছে ছবি। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাতে আচমকাই অসুস্থ বোধ করায় কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ চিকিৎসক অরুণাভ সেনগুপ্তর নেতৃত্বে ৮ সদস্যে মেডিক্যাল টিম বৈঠকে বসে। সিদ্ধান্ত হয়, অপারেশন করতেই হবে।  হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকালে সকালে মদন মিত্রর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। একইসঙ্গে করোনা পরীক্ষার জন্যও নমুনা সংগ্রহ করা হয়।  গতকাল দুপুর ১টা নাগাদ মদন মিত্রকে ইনস্টিটিউট অব অটো রাইনো ল্যারিঙ্গোলজিতে নিয়ে যাওয়া হয়। টিউমারের অবস্থান জানার জন্য করা হয় অপটিক্যাল ফাইবার ল্যারিঙ্গোস্কোপি। এসএসকেএম সূত্রে জানা যায়, নভেম্বর মাসেই মদন মিত্রর ভোকাল কর্ড বা স্বরযন্ত্রে টিউমার ধরা পড়ে। কিন্তু, সেসময় নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় অপারেশন করাননি তিনি। মদন মিত্রর অন্যান্য শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট স্বাভাবিক রয়েছে।


গতকাল মদন মিত্র জানান, “ডাক্তাররা টেস্ট করে বলল টিউমারটা বড় হয়ে গেছে। আমার তো আর ঘরে বসে থাকার বিষয় না। অপারেশন করতে পারিনি তখন। প্যালপিটিশন আছে। অপারেশন তো, অ্যানাস্থেসিয়া করবে। একটু তো চিন্তা আছেই। ’’