জয়পুর: রাহুল গাঁধীর নিশানায় নরেন্দ্র মোদি। জয়পুরের জনসভায় নোট বাতিল, কর্মসংস্থান, বেকারি ইস্য়ুতে প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে এনআরসি, সিএএ প্রসঙ্গ টেনে তাঁর তীব্র সমালোচনা করলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। বললেন, প্রধানমন্ত্রী ২ কোটি কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু গত এক বছরে যুবসমাজ ১ কোটি কাজ হারিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যেখানেই যান, সিএএ নিয়ে প্রচার করেন, কিন্তু সবচেয়ে বড় ইস্যু যেটা, সেই কর্মসংস্থান নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেন না। সামনেই ১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় সাধারণ বাজেট পেশ হচ্ছে সংসদে। তার প্রাক্কালে মোদিকে টার্গেট করে রাহুল অভিযোগ করলেন, তিনি বিনিয়োগকারীদের দূরে সরিয়ে দিয়েছেন, ভারতের শান্তিপূর্ণ দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন। রাহুলের মতে, গোটা দুনিয়ায় ভারতের পরিচয়, সুনাম ছিল, সে ভ্রাতৃত্ব, প্রেম-ভালবাসা ও ঐক্যের দেশ। পাকিস্তানকে সবাই চিনত ঘৃণা, বিভেদপন্থার দেশ বলে। ভারতের সেই ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছেন মোদি। আজ ভারতকে ধর্ষণ রাজধানী বলে গণ্য করা হয় বলেও মন্তব্য করেন রাহুল।
যুব আক্রোশ সমাবেশে তিনি এও বলেন, প্রধানমন্ত্রী জিএসটি বুঝতে পারেননি। বিমুদ্রাকরণ প্রসঙ্গ তুলে রাহুল মন্তব্য করেন, আট বছরের কোনও বাচ্চাকেও যদি প্রশ্ন করা হল, নোট বাতিলে তোমার লাভ বা ক্ষতি, কোনটা হয়েছে, সে বলবে, লোকসানই হয়েছে। আগে আমরা চিনের সঙ্গে পাল্লা দিতাম, কিন্তু দুঃখের কথা, সেই চিন আমাদের অনেক পিছনে ফেলে দিয়েছে।
রাহুল বলেন, এটা লজ্জার ব্যাপার যে, ইউপিএ যখন ক্ষমতায় ছিল, তখনকার তুলনায় আর্থিক বৃদ্ধির পতন ঘটেছে। যুবকরা দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ, আজ সেই সম্পদের অপচয় চলছে দেশে। প্রধানমন্ত্রী ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে গত এক বছরে এক কোটি চাকরি চলে গিয়েছে।
এর আগেও কেন্দ্রের বিজেপি-জোট সরকার আর্থিক ইস্যুতে ব্যর্থ, অথচ গোটা দেশের নজর নানা ভাবে ঘুরিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে রাহুল বলেছেন, নরেন্দ্র মোদির যুবকদের বলার সাহস থাকা উচিত, কেন ভারতীয় অর্থনীতি বিপর্যয়ের সম্মুখীন, কেন বেকারি বাড়ছে? পড়ুয়াদের সামনে দাঁড়ানোর সাহস নেই ওনার। আমি চ্যালেঞ্জ করছি, পুলিশ সঙ্গে না নিয়ে দেশের যে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে উনি বলুন, দেশের জন্য তিনি কী করছেন।