নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টের বুধবারের আধার সংক্রান্ত রায়কে স্বাগত রাহুল গাঁধীর। তিনি ট্যুইট করেছেন, কংগ্রেসের দৃষ্টিভঙ্গি সমর্থন ও ভারতকে রক্ষা করায় সুপ্রিম কোর্টকে ধন্যবাদ। পাশাপাশি কংগ্রেস সভাপতির দাবি, কংগ্রেসের কাছে আধার হল ক্ষমতায়নের হাতিয়ার, বিজেপির কাছে অত্যাচার ও নজরদারির অস্ত্র।






সুপ্রিম কোর্টের সংবিধান বেঞ্চ কেন্দ্রের আধার প্রকল্পকে সাংবিধানিক বৈধ বলে জানিয়েও যেমন, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, মোবাইল ফোন ও স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে আধার সংযোগের নিয়ম সহ তার কয়েকটি ধারা খারিজ করেছে। অর্থাত এবার থেকে স্কুলে ভর্তি, সিবিএসই, এনইইটি পরীক্ষার ক্ষেত্র বাধ্যতামূলক নয় আধার। মোবাইল কোম্পানিগুলি আধার নম্বলর চাইতে পারবে না। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার সংযোগও বাধ্যতামূলক থাকছে না।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আধার আইনের ৫৭ ধারা বাতিল হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে কংগ্রেস বলল, এটা বিজেপির গালে একটা থাপ্পড়।

ওই ধারার জোরে বেসরকারি সংস্থাগুলি আধার তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার, সংগ্রহের অধিকার পেত। রায় বেরনোর পর কংগ্রেসের ট্যুইটারে বলা হয়, আধার আইনের ৫৭ ধারা সুপ্রিম কোর্টের বাতিলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। বেসরকারি সংস্থাগুলি আর ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ার জন্য আধার ব্যবহারের অনুমতি পাবে না।
আধারকে বেসরকারি সংস্থাগুলি থেকে আলাদা করে দেওয়ার সিদ্ধান্তে বিজেপি গালে একটা থাপ্পড় খেল বলে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস মুখপাত্র কংগ্রেস মুখপাত্র অভিষেক মনু সিংভিও। তিনি ট্যুইট করেন, বিজেপির গালে থাপ্পড়। বিচারপতি সিকরির রায়ে ২০১৬-র আধার আইনের ৫৭ ধারা বাতিল করা হয়েছে, যাতে বলা হয়েছে, বেসরকারি সংস্থা আধার তথ্য চাইতে পারে। বায়োমেট্রিক নথি থেকে অর্থ আয়ের যাবতীয় প্ল্যান এবার ভেস্তে গেল।
সুপ্রিম কোর্ট বর্তমানে যে ধাঁচে মেটাডাটা সংরক্ষণ করা হয়, তাও অনুমোদন করেনি বলে জানিয়ে তিনি বলেন, কোনও ব্যক্তি সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করতে হলে তাঁর বক্তব্য শোনার সুযোগ দিতে হবে। সিংভি ট্যুইট করেন, সুপ্রিম কোর্ট সঠিক ভাবে একটা চমত্কার মৌলিক ধারণাকে বাহবা দিল, তার মৌলিক চরিত্র রক্ষা করে তাকে বিকশিত করল, তার খারাপ দিককে বর্জন করল। দারুণভাবে সুপ্রিম কোর্ট বিজেপি ও মোদীর জমানো নোংরা জল ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে সন্তানকে বাঁচাল। প্রান্তিক জনতাকে পরিচিতি দেওয়ার ইউপিএ-র মৌলিক উদ্দেশ্য এবার প্রতিষ্ঠিত হল।

কংগ্রেসের আরেক মুখপাত্র রণবীর সিংহ সুরজেওয়ালা বলেন, ব্যক্তি মানুষের গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। তিনি ট্যুইট করেন, মোদী সরকারের দানবীয় ৫৭ ধারা বাতিল। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, মোবাইল, স্কুল, বিমান, ট্রাভেল এজেন্ট, বেসরকারি সংস্থাগুলির আধার তথ্য চাওয়ার ধারা বাতিল। এবার সময় হয়েছে পরবর্তী পদক্ষেপের-এপর্যন্ত সংগৃহীত নাগরিকদের যাবতীয় তথ্য নষ্ট করে ফেলতে হবে।