নয়াদিল্লি: দেশের অর্থনীতিতে করোনার জোর ধাক্কা। চলতি বছরে বৃদ্ধির সম্ভাব্য হার থাকবে -৪.৫%, পূর্বাভাস রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার। কোভিড ফিরে আসবে ধরলে আরও তলানিতে বৃদ্ধি। কোভিড ফিরবে ধরলে, বৃদ্ধি নামতে পারে -৭.২ শতাংশে। পুঁজি এবং শ্রমের হিসেবে উত্পাদন ক্ষেত্রেও পড়েছে প্রভাব। প্রভাব পড়েছে খনি শিল্পেও। দুই ক্ষেত্রে আয় কমতে পারে ২.৭ লক্ষ কোটি টাকা পর্যন্ত। পূর্বাভাস আরবিআই-এর।


আজ আরবিআই-এর বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘এ বছরের জুনে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার (আইএমএফ) জানিয়েছে, ২০২০ সালে বিশ্ব অর্থনীতির বৃদ্ধির হার থাকতে পারে -৪.৯%। আর্থিক কার্যকলাপের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। আগে যতটা ভাবা হয়েছিল, তার চেয়ে মন্থর গতিতেই আর্থিক অবস্থা আগের জায়গায় ফিরছে। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার থাকতে পারে -৪.৫%। ১০ জুন অর্গানাইজেশন ফর ইকনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) জানিয়েছে, আর্থিক বৃদ্ধির উপর দু’টি ধাক্কা আসতে পারে। এ বছরের শেষদিকে দ্বিতীয় ধাক্কা আসতে পারে।’

আরবিআই-এর রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ‘সারা বিশ্বে একক ধাক্কার ক্ষেত্রে আর্থিক বৃদ্ধির হার কমে হতে পারে -৬.০% এবং দ্বিতীয় ধাক্কার ক্ষেত্রে হতে পারে -৭.৬%। ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি হতে পারে যথাক্রমে -৩.৭% এবং -৭.৩%। বিশ্বব্যাঙ্ক জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আর্থিক বৃদ্ধির হার মারাত্মক ধাক্কা খেতে পারে। ২০২০ সালে সারা বিশ্বে আর্থিক মন্দা গত আট দশকে সবচেয়ে বড় হতে পারে। ২০০৯ সালে বিশ্বে যে আর্থিক মন্দা তৈরি হয়েছিল, তার তিনগুণ বেশি হতে পারে এবারের আর্থিক মন্দা। এ বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে বিশ্ব বাণিজ্য তলানিতে ঠেকতে পারে।’

আরবিআই সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ২০২০-২১ অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে মুদ্রাস্ফীতির হার বাড়লেও, চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা কমতে পারে। যদিও এ বছর আর্থিক বৃদ্ধির হার নেতিবাচকই থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।