আমদাবাদ (গুজরাত): ফৈজাবাদের নাম বদলে অযোধ্যা হচ্ছে। ঘোষণা করেছেন যোগী আদিত্যনাথ। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের পর এবার গুজরাতের উপ মুখ্যমন্ত্রী নিতিন পটেল জানালেন, আইনি বাধা না থাকলে তাঁরাও আমদাবাদের নাম বদলে কর্ণাবতী করতে চান। গাঁধীনগরে সাংবাদিকদের পটেল জানান, রাজ্যের বিজেপি সরকার আইনি বাধা কাটিয়ে প্রয়োজনীয় সমর্থন জোগাড় করতে পারলে আমদাবাদের নাম বদলাতে আগ্রহী, তৈরিও।


আমদাবাদই ভারতের একমাত্র ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’-এর তকমা পাওয়া শহর। রাজ্য সরকার তার নয়া নামকরণ করতে চায় কিনা, জানতে চাওয়া হলে পটেল বলেন, লোকের মনে এখনও এই অনুভব আছে যে, আমদাবাদের নাম অবশ্যই বদলে কর্ণাবতী হওয়া উচিত। আইনি জটিলতা কাটাতে প্রয়োজনীয় সমর্থন পেলে আমরা সবসময় এজন্য প্রস্তুত।

ইতিহাস হল, আমদাবাদ সংলগ্ন এলাকায় একাদশ শতক থেকে জনবসতি ছিল। তখন তার নাম ছিল আসাবল। অনহিলওয়ারার (এখনকার পাটান) চালুক্য শাসক কর্ণ আসাবলের ভিল রাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন, সবরমতীর তীরে কর্ণাবতী নামে নগরের পত্তন করেন। ১৪১১-য় সুলতান আহমেদ শাহ কর্ণাবতীর কাছে নতুন এক শহর স্থাপন করে তার নাম দেন আমদাবাদ।
সঠিক সময়েই আমরা নাম বদলের উদ্যোগ নিতে পারি বলে জানান পটেল।

এদিকে বিজেপি সরকারের এমন ভাবনার তীব্র বিরোধিতা করে গুজরাত কংগ্রেসের মুখপাত্র মনিশ দোশীর কটাক্ষ, আমদাবাদের নাম বদলের প্রতিশ্রুতি স্রেফ শাসক দলের আরেকটা ভোটের চমক! বিজেপির কাছে অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ, আমদাবাদের নাম কর্ণাবতীতে বদলে দেওয়া হিন্দু ভোট টানার কৌশলমাত্র। ক্ষমতায় আসার পর বিজেপি নেতারা এইসব প্রতিশ্রুতি আস্তাকুঁড়ে ফেলে দেন। এতগুলি বছর তাঁরা হিন্দুদের এভাবে ঠকিয়ে এসেছেন।
প্রসঙ্গত, এলাহাবাদের নাম প্রয়াগরাজ করে দেওয়ার পর গতকালই দীপাবলী উপলক্ষ্যে আদিত্যনাথ ঘোষণা করেন, এবার থেকে ফৈজাবাদ জেলার নাম বদলে হচ্ছে অযোধ্যা। অযোধ্যা আমাদের সম্মান, গর্ব, মর্যাদার প্রতীক।