কিয়েভ: রাশিয়ার (Russia) সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরেই ইউক্রেনের (Ukraine) রাজধানী কিয়েভে (Kyiv) জারি হল কার্ফু। এমনই জানালেন কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিৎসকো (Vitali Klitschko)।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (US President Joe Biden) জানিয়েছেন, তিনি আজ রাতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।
ইউক্রেনের দাবি, আজ সকালে রাশিয়ার সেনাবাহিনী যুদ্ধ শুরু করার পর তাদের অন্তত ৫০ জন সেনা জওয়ানকে হত্যা করা হয়েছে। রাশিয়ার পাঁচটি যুদ্ধবিমান ও একটি হেলিকপ্টার গুলি করে নামানো হয়েছে। রাশিয়া অবশ্য ইউক্রেনের এই দাবি অস্বীকার করেছে।
আজ ভোরে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে অস্ত্র সমর্পণ করতে বলে সামরিক অভিযানের ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। ইউক্রেন নিয়ে কোনও বিদেশি শক্তি নাক গলালে তার ফল ভুগতে হবে বলে হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। এরপরই ইউক্রেন জুড়ে জারি হয় সামরিক আইন। যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে আগেই ইউক্রেন সীমান্তে এয়ারস্পেস বন্ধ করে দেয় রাশিয়া। ইউক্রেনও তাদের তিনটি বিমানবন্দর বন্ধ করে দিয়েছে। ইউক্রেনের দূতাবাস খালি করেছে মস্কো। ইউক্রেনের তরফেও তাদের নাগরিকদের রাশিয়া ছাড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পূর্ব ইউরোপের ক্রিমিয়া দিয়ে ইউক্রেনে ঢুকেছে রুশ সেনা। কিয়েভ, খারকিভ-সহ একাধিক শহরে শোনা যাচ্ছে পরের পর বিস্ফোরণের শব্দ। ইউক্রেনের দাবি, পাঁচটি রুশ সেনাবিমান ও একটি হেলিকপ্টার গুলি করে নামানো হয়েছে। রাশিয়ার পাল্টা দাবি, ইউক্রেনের বিমান ঘাঁটি ধ্বংস করার পাশাপাশি সে দেশের বায়ুসেনার যাবতীয় প্রতিরোধ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ইউক্রেনের দাবি, রুশ সেনার ছোড়া গোলায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। ৯ জন আহত। আত্মসমর্পণ নয়, জানাল ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। অন্যদিকে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ প্রস্তুতি শুরু করল ন্যাটো।
এই পরিস্থিতিতে আজ ভার্চুয়াল বৈঠকে বসছে জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি। ইউক্রেনের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পক্ষ থেকে আগেই রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা করা হয়েছে।