তিরুঅনন্তপুরম: রাজ্য প্রশাসনের সক্রিয় সহায়তায় কেরলের শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করেছিলেন তিনি। কিন্তু ইতিহাস গড়া কনকদুর্গার পদে পদে বাধার প্রাচীর গড়ছে সমাজ। তাঁর মন্দিরে ঢোকার কট্টর বিরোধী স্বামী ও শাশুড়ি এবার বাড়ি থেকে বার করে দিয়েছেন তাঁকে। বাধ্য হয়ে একটি হোমে মাথা গুঁজেছেন নিয়মের নিগড় ভাঙা, বিদ্রোহিনী কনক দুর্গা।

কেরলের শবরীমালা মন্দিরে ঋতুযোগ্য মহিলা প্রবেশের বিরোধিতায় বেশ কয়েকমাস ধরে তীব্র আন্দোলন চলছে। এর মধ্যে পুলিশি সহায়তায় মন্দিরে প্রবেশ করেন পঞ্চাশের কমবয়সি দুই মহিলা বিন্দু আম্মিনী ও কনক দুর্গা। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন নিজে ঘোষণা করেন এ কথা। দুই মহিলাকে পুলিশি নিরাপত্তাও দেওয়া হয়। কিন্তু এরপর নিজের বাড়ি গেলে শাশুড়ি চ্যালা কাঠ দিয়ে কনক দুর্গাকে প্রচণ্ড মারধর করেন বলে অভিযোগ। তাঁকে কোঝিকোড় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেরে উঠে পুলিশি পাহারায় বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু স্বামী, শাশুড়ি ঢুকতে দেননি তাঁকে।

এ নিয়ে পুলিশে অভিযোগ করেছেন কনক দুর্গা। আপাতত আশ্রয় নিয়েছেন একটি হোমে।

১০ বছরের কমবয়সী ও ৫০-এর বেশি বয়সী মহিলারাই শুধু শবরীমালায় পৌঁছনোর যোগ্য। কিন্তু ২৮ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, যে কোনও বয়সের মহিলাই শবরীমালায় প্রবেশ করতে পারবেন। এরপর থেকেই কেরলে এই ইস্যুতে চরম অশান্তি চলছে। বিন্দু আম্মিনী ও কনক দুর্গার প্রবেশের পর শবরীমালা মন্দিরে শুদ্ধিকরণ অনুষ্ঠানও হয়েছে।