নয়াদিল্লি: নির্ভয়াকাণ্ডের চার অপরাধীকে চিকিত্সা গবেষণা ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ডোনেশনের জন্য মরণোত্তর দেহদানের অপশনের প্রস্তাব দিতে তিহার জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়ার আবেদন জানিয়ে পিটিশন ফাইল করেছিলেন বম্বে হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রাক্তন বিচারপতি মাইকেল এফ সালদান্না। কিন্তু সেটি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতিদ্বয় আর ভানুমতি ও এ এস বোপান্নাকে নিয়ে গঠিত সর্বোচ্চ আদালতের বেঞ্চ বলেছে, জনস্বার্থমূলক পিটিশনের মাধ্যমে এমন নির্দেশ চাইতে পারেন না। অপরাধীরা এমনটা করতে চাইলে নিজেরাই বা পরিবারের সদস্য়দের মাধ্যমে ইচ্ছাপ্রকাশ করতে পারে।
কিন্তু পিটিশনারের আইনজীবীরা এরপরও নিজেদের বক্তব্য়ের সমর্থনে সওয়াল করতে থাকলে বেঞ্চ পিটিশনটি ভ্রান্ত আখ্যা দিয়ে খারিজ করে দেয়। বলে, একটা লোককে ফাঁসি দিয়ে মেরে ফেলাই তার পরিবারের কাছে সবচেয়ে কষ্টের ব্যাপার। তার ওপর আপনারা চাইছেন, ওদের দেহ টুকরো টুকরো করে কাটা হোক। অঙ্গদান স্বেচ্ছায়, স্বতঃস্ফূর্ত হওয়া উচিত। একটু মানবিকতা দেখান, এমন মন্তব্যও করে বেঞ্চ।
পিটিশনার শীর্ষ আদালতে দায়ের করা আবেদনে বলেছিলেন, এবার থেকে সব ধরনের ফাঁসির ক্ষেত্রেই দেহদানের বিষয়টি দৃষ্টান্তমূলক শর্ত হিসাবে স্থাপন করা যায় কিনা, সেটা বিচার করা হোক।
চার ফাঁসি হওয়ার অপেক্ষায় থাকা দোষী হল মুকেশ কুমার সিংহ, পবন গুপ্তা, বিনয় কুমার শর্মা ও অক্ষয় কুমার। ২০১২র ১৬ ডিসেম্বর রাতে এরা ও এক নাবালক সহ আরও ২ জন ২৩ বছর বয়সি প্যারামেডিকেল ছাত্রীকে দক্ষিণ দিল্লিতে চলন্ত বাসে ধর্ষণ করে নারকীয় অত্যাচার করে। কয়েকদিন বাদে সে মারা যায়। নাবালক অপরাধী সংশোধনাগারে তিন বছর কাটিয়ে ছাড়া পায়। রাম সিংহ নামে ষষ্ঠ অভিযুক্ত মামলার তদন্ত শুরুর কয়েকদিন বাদে তিহার জেলে আত্মহত্যা করে।