আবেদনটি পেশ করেছেন আইনজীবী এম এল শর্মা। তিনি ১২ বা ১৩ আগস্ট শুনানি চেয়ে তাঁর আবেদনটি তালিকাভুক্তির জন্য বেঞ্চে আর্জি জানান। বেঞ্চ শর্মার কাছে জানতে চায়, তিনি পিটিশনের ভুল-ত্রুটিগুলি সংশোধন করেছেন কিনা। শর্মা জবাবে জানান, ভুল-ত্রুটি ঠিক করে দেওয়া হয়েছে, রেজিস্ট্রি পিটিশনটির নম্বরও ধার্য্য করেছে।
৩৭০ ধারা নিয়ে রাষ্ট্রপতির আদেশটি বেআইনি কেননা জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভার সম্মতি তা পাশ হয়নি, পিটিশনে এহেন সওয়াল করেছেন শর্মা। সংসদের উভয় কক্ষে এই সংক্রান্ত বিল পাশ হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির অর্ডারে জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া ৩৭০ অনুচ্ছেদটি খারিজ করা হয়।
শর্মা তাঁর আবেদনের দ্রুত শুনানির অনুরোধ করে বলেন, পাকিস্তান সরকার ও কিছু কাশ্মীরি ৩৭০ ধারা সংক্রান্ত রাষ্ট্রপতির আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপুঞ্জে যাবে বলে জানিয়েছে। ওরা রাষ্ট্রপুঞ্জে গেলে সেখানে কি ভারতের সংবিধান সংশোধনীটি স্থগিত হয়ে যেতে পারে। তাই বিষয়টি নিয়ে যুক্তি শোনার জন্য আপনার উদ্যম সঞ্চয় করে রাখুন।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের বিজেপি-এনডিএ সরকারের ৩৭০ ধারা জম্মু ও কাশ্মীরে রদ করা ও জম্মু ও কাশ্মীরকে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাবটি সোমবার রাজ্যসভায় পাশ হয়। পরদিনই লোকসভায় তা দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে গৃহীত হয়।
বেঞ্চ সমাজকর্মী তেহসিন পুনাওয়ালার একটি পিটিশনও শুনতে রাজি হয়নি শীর্ষ আদালত। কাশ্মীরে কার্ফু জারি, রাজনৈতিক নেতা, কর্মীদের গ্রেফতারির বিরোধিতা করেছেন পুনাওয়ালা । সু্প্রিম কোর্ট বলেছে, পিটিশনটি প্রধান বিচারপতির সামনে উঠবে। পুনাওয়ালার আইনজীবী সুহেইল মালিক বলেন, তিনি ৩৭০ ধারা নিয়ে কোনও মতামত দিচ্ছেন না, তবে কাশ্মীরে জারি হওয়া বিধিনিষেধ, রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারির নিন্দা করছেন। প্রসঙ্গত, কাশ্মীরে ইন্টারনেট, মোবাইল, ল্যান্ডলাইন ফোন বন্ধ থাকায় সেখান থেকে ও সেখানে যোগাযোগ রাখা সম্ভব হচ্ছে না। মালিক বলেন, মানুষের অধিকার আছে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার, তারা কেমন, কোথায় আছেন, তা জানার।
জম্মু ও কাশ্মীরে ওমর আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতি, সাজ্জাদ লোন সমেত রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের প্রথম গৃহবন্দি, পরে গ্রেফতার করা হয়েছে।