নয়াদিল্লি ও ঋষিকেশ: দ্বিতীয় ভারতীয়র শরীরে করোনাভাইরাসের প্রমাণ মিলল। কেরলের বাসিন্দা ওই রোগীর চিন-সফরের ইতিহাস রয়েছে। আক্রান্ত আলাপুঝা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি। তাঁকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থার ওপর ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যদিও, করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রমাণ মিলেছে বলে মন্তব্য করতে রাজি হননি রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা। তিনি বলেন, পুণের ন্যশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির থেকে রিপোর্ট এখনও আসেনি। সম্ভাবনা করোনাভাইরাস, যদিও রিপোর্ট আসলে তবেই নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এখনও পর্যন্ত চিন থেকে ফিরেছেন কেরলের ১৭৯৩ জন বাসিন্দা। তাঁদের সকলকে পৃথকভাবে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ কোঝিকোড়ে এসেছেন। সেই সংখ্যাটা ২৬৮। এছাড়া রয়েছে - তিরুঅনন্তপুরম- ১২৬ জন, কোল্লম- ১৫৬ জন, ইডুক্কি-১২০, এরনাকুলম-২৩৮, ত্রিশূর-১৫৪, পলক্কড়-৯৯, মলপ্পুরম-২৬৫, ওয়েনাড়-২৮, কান্নুর-১২১ এবং কসারাগড়-৬৮।
এদিকে, সন্দেহজনক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক মহিলাকে উত্তরাখণ্ডের ঋশিকেশের অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস-এ ভর্তি করা হয়েছে। মহিলাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে হাসপাতালের তরফে। সম্প্রতি, ওই মহিলা চিনের উহান থেরে দেশে ফিরেছেন। এই উহান শহরই মারণ করোনাভাইরাসের উৎসস্থল বলে ঘোষণা করেছে চিন প্রশাসন। এখনও পর্যন্ত ওই ভাইরাসে চিনে ৩০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার অধিকাংশ হয়েছে এই শহরে। চিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়িয়েছে।
এদিনই, চিনের উহানে আটকে পড়া ৩২৩ জন ভারতীয়কে উদ্ধার করে দেশে ফিরল  এয়ার ইন্ডিয়ার দ্বিতীয় উড়ান। ভারতীয়দের পাশাপাশি, দ্বিতীয় দফায় উহান থেকে মলদ্বীপের ৭ বাসিন্দাকেও উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল ভারতীয় সময় রাত ৩টে ১০-এ উহান থেকে রওনা দেয় এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ উড়ান জাম্বা বি-৭৪৭ বিমান । আজ সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ দিল্লিতে নামে। দিল্লি বিমানবন্দরে নামার পরে নেওয়া হচ্ছে একগুচ্ছ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, উদ্ধারের পর সেদেশের ৭ জন নাগরিককে আপাতত দিল্লিতেই পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। প্রথম দফায় গতকাল উহান থেকে ৩২৪ জন ভারতীয়কে উদ্ধার করে দেশে ফেরানো হয়।