নয়াদিল্লি: মুম্বইয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারকে যে নোটিস পাঠিয়েছে তার তীব্র সমালোচনা করলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গাঁধী। তাঁর অভিযোগ, প্রতিশোধস্পৃহায় অধীর হয়ে কেন্দ্রীয় সরকার পাওয়ারকে নিশানা করেছে। মহারাষ্ট্র রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্কের টাকা তছরূপের ঘটনায় ইডি তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

শরদ পাওয়ার সম্ভবত মহারাষ্ট্রের সবথেকে বড়মাপের নেতা। দল নির্বিশেষে সব রাজনীতিকের মধ্যে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা সর্বোচ্চ। রাহুল প্রশ্ন করেছেন, মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটের ঠিক ১ মাস আগে এভাবে তাঁর বিরুদ্ধে ইডি ব্যবস্থা নিল কেন। এর পিছনে রাজনৈতিক স্বার্থ রয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ।

২১ অক্টোবর মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন। ফল বার হবে ৩দিন পর। দক্ষিণ মুম্বইয়ের বালার্ড পিয়ের এলাকায় ইডি অফিসে পওয়ারের আগমনের কারণে বিরাট সংখ্যায় পুলিশ কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। এনসিপি সমর্থকদের ভিড় হওয়ার আশঙ্কায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে কোলাবা, কাফে পারাডে, মেরিন ড্রাইভ, ডোংরি, আজাদ ময়দান, জে জে মার্গ ও এমআরএ মার্গ পুলিশ স্টেশন এলাকায়। পাওয়ার জানিয়েছেন, ইডি তাঁকে সমন না পাঠালেও নিজে থেকেই তাদের অফিসে যাবেন তিনি। এনসিপির অভিযোগ, তাদের সমর্থকদের গতকাল রাত থেকেই আটক করা শুরু করেছে পুলিশ। কিন্তু এনসিপি আইনশৃঙ্খলায় বিশ্বাসী, এ ধরনের দমনপীড়নের কঠোর নিন্দা করছে তারা।


পওয়ার অবশ্য তাঁর সমর্থকদের ইডি অফিসের বাইরে জমায়েত না করার অনুরোধ করেছেন।

মহাহরাষ্ট্র সমবায় ব্যাঙ্কের টাকা তছরূপ মামলায় শরদ পওয়ার ও তাঁর ভাইপো অজিত পওয়ার সহ বেশ কয়েকজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। যদিও পওয়ারের দাবি, ওই ব্যাঙ্কের সঙ্গে তিনি কোনওভাবেই সংযুক্ত নন, মহারাষ্ট্র ভোটের কথা মাথায় রেখে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা চলছে।