শাহিনবাদের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী সমাবেশের আয়োজক শারজিলের ‘অসমের ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া’ সংক্রান্ত মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক মাথাচাড়া দেয়। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪ এ, ১৫৩ এ ও ৫০৫ অনুচ্ছেদের আওতায় প্ররোচনামূলক বক্তব্য ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ ছড়ানোর অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহিতা মামলা রুজু হয়।
মঙ্গলবার বিহারের জেহানাবাদে গ্রেফতারির পর ট্রানজিট রিমান্ডে দিল্লি নিয়ে আসা হয় শারজিলকে। সম্প্রতি সোস্য়াল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একগুচ্ছ ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা গিয়েছে, আমরা সকলে একজোট হলে উত্তরপূর্বকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারি। পাকাপাকি করতে না পারলেও অন্তত এক-দুটো মাসের জন্য তো করাই যায়। অসমকে ভারত থেকে আলাদা করা আমাদের দায়িত্ব। একমাত্র তাহলেই সরকার আমাদের কথা শুনবে।
গত ১৬ জানুয়ারি সিএএ ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর (এনআরসি) বিরুদ্ধে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের বিক্ষোভে বিতর্কিত ভাষণের জন্যও উত্তরপ্রদেশ পুলিশ তার বিরুদ্ধে পৃথক মামলা রুজু করেছে।
এদিকে দিল্লি পুলিশ শারজিলের সঙ্গে ইসলামিক ইউথ ফেডারেশন, পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার যোগসাজশ আছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সূত্রের খবর, সে বলেছে, গ্রেফতার হওয়ায় কোনও অনুশোচনা, দুঃখ নেই। ওর সব ভিডিও ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হচ্ছে। ওর সোস্য়াল মিডিয়া অ্যাকাউন্টও পরীক্ষা করা হচ্ছে।