নয়াদিল্লি: ৭০-তম জন্মদিনে যখন রাজনৈতিক দলমত নির্বিশেষে শুভেচ্ছা, অভিনন্দনের বন্যায় ভাসছেন, সেদিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দেশের কর্মচ্যুতি, বেকারির প্রসঙ্গ তুলে কটাক্ষ করলেন কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া। রাহুল গাঁধী বেকারি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করেন অহরহ। তবে আজকের দিনে তিনিও তাঁকে জন্মদিনে অভিনন্দন জানিয়েছেন। কিন্তু রাহুলের দলেরই নেতা তথা কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ১৭ সেপ্টেম্বর দিনটিকে ‘জাতীয় বেকারি দিবস’ তকমা দিয়েছেন।


গত ৬ মাসে দেশের ১৪ কোটি লোক কাজ হারিয়েছেন বলে দাবি করে সিদ্দারামাইয়ার ট্যুইট, ২ কোটির বেশি বেতনভিত্তিক কাজ, মোটের ওপর ১২ কোটি কাজ গত ৬ মাসে চলে গিয়েছে। নরেন্দ্র মোদি সরকারের সিদ্ধান্তের জন্যই দেশে বেকারির হার গত ৪৫ বছরে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। ‘জাতীয় বেকারি দিবস’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে তিনি লিখেছেন, ওনার সাফল্যকে মর্যাদা দিতেই হতাশ, মন ভেঙে পড়া বেকার যুবকরা আজকের দিনটি ‘জাতীয় বেকারি দিবস’ হিসাবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি এই ‘জাতীয় বেকারি দিবসে’ চলতি সঙ্কট নিরসনে যথেষ্ট কাজ তৈরি করতে আবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রীকে।



সিদ্দারামাইয়ার অভিমত, এই সঙ্কট দেশে জনবিন্যাসগত বিরাট ফারাক তৈরি করবে, ভারতের যুবকদের জীবনের মূল্যবান বছরগুলি নষ্ট করবে।
তবে তাঁকে পাল্টা জবাবে কর্নাটক বিজেপি ট্যুইট করেছে, নিজেকে ‘প্রবোধ দেওয়ার নিদ্রা’ ভেঙে জেগে উঠে চারপাশটা একবার দেখুন। দেখবেন, পুরো বিশ্ব কোভিড অতিমারিতে বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছে। কেন আপনার পার্টির তরুণ তুর্কি রাহুল গাঁধীর বেকারির জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দায়ী করছেন?
পাশাপাশি সিদ্দারামাইয়া আরও ট্যুইট করেন, ভারতকে উন্নয়নের মাপকাঠিতে দুনিয়ার নেতা করে তোলার পরিবর্তে গত ৬ মাসে ৫৬৪ থেকে করোনা সংক্রমণ সংখ্যা ৫১ লক্ষে বাড়তে দিয়েছেন, এটাই মোদির প্রধান সাফল্য। তবে এও বলেন, শ্রী মোদিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। তাঁর সুস্বাস্থ্য, সুদীর্ঘ জীবন কামনা করি। আমরা ওঁর জন্মদিন পালনের বিরোধী নই, মিথ্যা প্রচার, বিজ্ঞাপনের পিছনে ওনার ঢালাও অর্থব্যয়ের বিরোধী।