নয়াদিল্লি: নভজ্যোত সিংহ সিধুর সাম্প্রতিক পাকিস্তান সফরে সে দেশের সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়াকে আলিঙ্গনের নিন্দা নির্মলা সীতারামনের। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মতে, সিধুর আচরণে এ দেশের সেনা জওয়ানরা আঘাত পেয়েছেন। ইমরান খানের পাক প্রধানমন্ত্রীর পদে শপথ নেওয়ার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়ে গিয়েছিলেন প্রাক্তন টেস্ট ক্রিকেটার তথা বিজেপি হয়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া সিধু। তাঁর দাবি, সেখানে ভারতের পঞ্জাব থেকে যাওয়া শিখ পূণ্যার্থীদের জন্য কর্তারপুর করিডর খুলে দেওয়ার জন্য পাক সরকার, প্রশাসন কাজ করছে বলে বাজওয়া তাঁকে জানানোর পর তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন, তারপরই জড়িয়ে ধরেন বাজওয়াকে। এ নিয়ে প্রবল বিতর্ক, জলঘোলা হয় দেশে। আজ নির্মলা সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, সিধুর বহু গুণগ্রাহী আছেন। ওঁর মতো কেউ ওখানে গিয়ে ওদের সেনাপ্রধানকে জড়িয়ে ধরায় অবশ্যই আমাদের জওয়ানদের মনে প্রতিক্রিয়া হবেই, তাঁদের মনোবল ধাক্কা খায়। পাক সেনার ব্যাপারে ভারতের স্পষ্ট অবস্থান রয়েছে। সিধু আলিঙ্গন এড়াতে পারলেই ভাল করতেন বলে মনে করি।
সিধু গতকাল বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে দেখা করে কর্তারপুর সাহিব করিডর চালুর ব্যাপারে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা শুরু করায় সাহায্য চান। তখন সুষমা নাকি তাঁকে তিরস্কার করেন বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা অকালি নেত্রী হরসিমরত কৌর বাদল। তাঁর বক্তব্য, বিদেশমন্ত্রী নভজ্যোত সিধুকে বকাঝকা করেন কর্তারপুর সাহিব করিডর সংক্রান্ত আলোচনা ‘গুলিয়ে দেওয়ায়’ ও ইমরান খানের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার অনুষ্ঠানে থাকার জন্য দেওয়া রাজনৈতিক ছাড়পত্রের ‘অপব্যবহার করায়’। ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে পাকিস্তান যাওয়ার জন্য তাঁকে যে সম্মতি দেওয়া হয়েছিল, আমাদের জওয়ানদের হত্যায় দায়ী পাক সেনাপ্রধানকে জড়িয়ে ধরে তিনি তার অপব্যবহার করেছেন।
গতকাল সিধু আরেক প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ও এক প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদকে নিয়ে বিদেশমন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলেন।