নয়াদিল্লি: লোকসভায় স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ (এসপিজি), ২০১৯ বিল পেশ করে বিরোধীদের সমালোচনার জবাব দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেছেন, ‘এসপিজি আইনের মূল বিষয়টির সঙ্গে সঙ্গতি বজায় রেখেই নতুন বিলটি পেশ করা হয়েছে। এই বিলে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সরকারি বাসভবনে থাকা পরিবারের লোকজনকে নিরাপত্তা দেবে এসপিজি। কোনও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে যাওয়ার পরের পাঁচ বছর যে সরকারি বাসভবনে থাকবেন, সেখানে তাঁকে এবং তাঁর সঙ্গে থাকা পরিবারের লোকজনকে নিরাপত্তা দেবে এসপিজি। এক প্রধানমন্ত্রী ও এক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর হত্যা বড় ক্ষতি। বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ১৯৮৮ সালে এসপিজি আইন আনা হয়। এরপর একাধিকবার এই আইনে বদল আনা হয়েছে। নয়া বিলের লক্ষ্য হল বিশেষ বাহিনীকে আরও দক্ষ করে তোলা এবং নিরাপত্তায় যাতে কোনও ফাঁক না থাকে সেটা নিশ্চিত করা। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু সরকারের প্রধান এবং তাঁকে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক নিরাপত্তা বিষয়ক কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়, তাই তাঁর জন্য এসপিজি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘এসপিজি-তে স্পেশাল শব্দের অর্থ হল প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা। প্রধানমন্ত্রীকে শুধু শারীরিকভাবে নিরাপত্তা দেওয়াই নয়, তাঁর পদের গরিমা ও মর্যাদা রক্ষা করাও লক্ষ্য। এর জন্য এসপিজি-র সদস্যদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।’

গাঁধী পরিবারের সদস্যদের এসপিজি নিরাপত্তা সরিয়ে নিয়ে জেড প্লাস নিরাপত্তা দেওয়া নিয়ে বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘এমন একটি ধারণা তৈরি করা হচ্ছে যেন গাঁধী পরিবারের নিরাপত্তা তুলে নেওয়ার জন্যই এসপিজি আইনে বদল আনা হচ্ছে। গাঁধী পরিবারের নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়নি। তাঁদের জেড প্লাস নিরাপত্তা দেওয়া হবে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রশেখর, ইন্দ্রকুমার গুজরাল ও মনমোহন সিংহের এসপিজি নিরাপত্তা যখন তুলে নেওয়া হয়েছিল, তখন কেউ কিছু বলেনি।’