নয়াদিল্লি:  বায়োজেট জ্বালানিতে প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে ভারতে বিমান চালালো স্পাইস জেট। ওই বিমান পরিবহণ সংস্থার পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়েছে।  পরীক্ষামূলক এই উড়ানে বোম্বারডায়ার কিউ ৪০০ বিমানটি দেহরাদূন থেকে আকাশে ওড়ে এবং দিল্লিতে অবতরণ করে। এই উড়ানে আংশিকভাবে বায়োজেট জ্বালানি ব্যবহার করা হয়েছে। বিমান পরিবহণ সংস্থার দাবি, ভারতে তারা প্রথম সফলভাবে বায়োজেট জ্বালানিতে  বিমান চালিয়েছে।

বিমান পরিবহণ সংস্থার বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, ওই উড়ানে ৭৫ শতাংশ এয়ার টারবাইন জ্বালানি (এটিএফ) ও ২৫ শতাংশ বায়োজেট জ্বালানির মিশ্রণ ব্যবহার করা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বায়োজেট জ্বালানি ব্যবহারের সুবিধা হল এতে এটিএফের তুলনায় কম কার্বন নির্গমন ঘটে এবং জ্বালানির কার্যকারিতাও বৃদ্ধি পায়।

স্পাইসজেট জানিয়েছে, ওই জ্বালানি তৈরি করেছে  দেহরাদূনের সিএসআইআর-ইন্ডিয়ান ইন্সস্টিস্টিউট অফ পেট্রোলিয়াম।

বিমান পরিবহণ নিয়ামক সংস্থা ডিজিসিএ এবং স্পাইস জেটের আধিকারিকরা সহ ২০ জন ওই পরীক্ষামূলক উড়ানে ছিলেন। উড়ানের সময় ছিল ২৫ মিনিট।

স্পাইস জেটের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর অজয় সিংহ বলেছেন, ওই বায়োজেট জ্বালানির দাম কম এবং তা কার্বন নির্গমনের পরিমাণ কমাতেও সহায়ক। তিনি আরও বলেছেন, চিরাচরিত জ্বালানির ওপর নির্ভরতা ৫০ শতাংশ কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে এই বায়োজেট ফুয়েলের। স্বাভাবিকভাবেই এতে যাত্রী ভাড়া কমার সুযোগও থাকছে।

আমেরিকান স্ট্যান্ডার্ড টেস্টিং মেথড (এএসটিএম) এই বায়োজেট জ্বালানিকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তা বিমানে বাণিজ্যিকভাবে প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনি এবং বোম্বারডায়ারের নির্ধারিত মানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।

আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহণ সংস্থা আইএটিএ-র তথ্য অনুসারে,  বিশ্বের গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমণের ২ শতাংশ আসে বিমান পরিবহণ শিল্প থেকে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আইএটিএ ২০২৫-এর মধ্যে পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ও জীবাশ্ম জ্বালানির মিশ্রণ ব্যবহার করে বিমানে ১০০ কোটি যাত্রী পরিবহণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।