নয়াদিল্লি: সংবাদমাধ্যমে কী খবর প্রকাশিত হচ্ছে সেদিকে নজর না দিয়ে নিজেদের কাজ ঠিকমতো করুক নির্বাচন কমিশন। আজ এমনই বলল সুপ্রিম কোর্ট। মাদ্রাজ হাইকোর্টের ভর্ৎসনা সংক্রান্ত যে খবর প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে, তাতে আপত্তি জানিয়ে যে পিটিশন দাখিল করেছে নির্বাচন কমিশন, তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই মন্তব্য করেছে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বলেছে, ‘বিচার চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সুযোগ সাংবিধানিক স্বাধীনতার মূল্যবান রক্ষাকবচ। বাকস্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার একটি দিক হল সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা।’
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সহ পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে করোনাবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগ ওঠে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে প্রচার হয়েছে, তার ফলেই করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূল কংগ্রেস সহ একাধিক রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছে। মাদ্রাজ হাইকোর্টও করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। নির্বাচন কমিশনই করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য দায়ী, বলে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। সংবাদমাধ্যমে সেই খবর প্রকাশিত হয়। এতেই আপত্তি জানায় নির্বাচন কমিশন। সংবাদমাধ্যমে এই ধরনের খবর প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা জারি করার দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের সেই আবেদনে সাড়া দিল না শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ‘নির্বাচন কমিশন যে বলেছে, সংবাদমাধ্যমকে আদালতের শুনানির খবর প্রকাশ করা থেকে বিরত রাখতে হবে, সেই আবেদনে সারবত্তা নেই। শুনানি চলাকালীন বিচারপতিদের মৌখিক পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত খবর প্রকাশ করা থেকে সংবাদমাধ্যমকে আটকানো যাবে না। ফলে আমরা সংবাদমাধ্যমকে খবর প্রকাশ করা থেকে বিরত করতে পারব না। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান অভিযোগ জানানো এবং সংবাদমাধ্যমকে বেড়ি পরানোর বদলে নিজেদের কাজ ভালভাবে করতে পারে।’
সুপ্রিম কোর্ট আরও বলেছে, বাস্তব পরিস্থিতির উপর নজর রেখে চলেছে হাইকোর্টগুলি। করোনা অতিমারীর সময় হাইকোর্টগুলি খুব ভাল কাজ করেছে। প্রশাসনের কাজে উষ্মা প্রকাশ করেছে আদালত।