ওই পরিযায়ী শ্রমিকের নাম রাম পুকার পণ্ডিত। তাঁর বাড়ি বিহারের বেগুসরাইয়ে। তাঁর স্ত্রী ফোন করে জানান, তাঁদের এক বছরের সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। সে কথা শুনে রাস্তায় বসে পড়ে কাঁদতে থাকেন ওই ব্যক্তি। তিনি শেষবারের মতো সন্তানকে দেখার জন্য দিল্লি থেকে ১,২০০ কিমি হেঁটে বাড়ি ফেরার চেষ্টা শুরু করেন।
অতুল যাদব নামে ওই চিত্রগ্রাহক লিখেছেন, ‘আমি যখন নিজামুদ্দিন ব্রিজে যাই, তখন দেখতে পাই রাম পুকার কেঁদেই চলেছেন। গত কয়েক সপ্তাহে আমি বেশ কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিকের ছবি তুলেছি। প্রত্যেকেরই অসহায় অবস্থা। কিন্তু একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে এভাবে কাঁদতে দেখব, সেটা ভাবতে পারিনি।’
অতুল আরও লিখেছেন, ‘আমি যখন রাম পুকারকে জিজ্ঞাসা করি, তিনি কোথায় যাবেন, তখন তিনি আঙুলের নির্দেশে দিল্লির সীমানার দিকের রাস্তা দেখিয়ে দেন। তখন আমি বুঝতে পারি, ‘ওইদিকে’ মানে বাড়ির কথা বলছেন তিনি। নজফগড়ে শ্রমিকের কাজ করেন তিনি। ট্রেন-বাস না পেয়ে হেঁটেই বাড়ি ফেরার চেষ্টা শুরু করেন তিনি। কিন্তু পুলিশ তাঁকে আটকে দেয়। তিনদিন ধরে নিজামুদ্দিন ব্রিজে আটকে থাকতে হয় তাঁকে। আমি পুলিশকর্মীদের অনুরোধ করায় তাঁরা বলেন, রাম পুকারকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন।’
এরপর দিল্লির পূর্ব জেলার সরকারি আধিকারিকরা রাম পুকারকে নয়াদিল্লি স্টেশনে পৌঁছে দেন। সেখান থেকে তিনি বিশেষ ট্রেন ধরে বেগুসরাই পৌঁছন।