কলকাতা: আরও শক্তিবৃদ্ধি করছে ঘূর্ণিঝড় আমফান।  আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, এর জেরে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায় ভারী বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া বইবার সম্ভাবনা।  মঙ্গলবার থেকে কলকাতা সহ ৭ জেলায় হালকা থেকে প্রবল বৃষ্টি হতে পারে।  বুধবার বেশ কিছু জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।  বুধবার পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চল অতিক্রম করে যাবে ঘূর্ণিঝড় আমফান। সোমবার বিকেলে ওড়িশা উপকূলে এর আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা।
আমফান পৌঁছানের আগে থেকেই বাংলার কলকাতা সহ বাংলার উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে বইতে শুরু করেছে উত্তর ও  উত্তর-পশ্চিমে হাওয়া।
শনিবার সন্ধের পর দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর রবিবার পর্যন্ত তা উত্তর-পশ্চিম অভিমুখে এগোবে।
রবিবারের পর ফের অভিমুখ বদলে উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে বাংলা-ওড়িশা উপকূলের দিকে অগ্রসর হবে। ক্রমশ শক্তি অর্জন করে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে আমফান। ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা পেয়েই বিপর্যয় মোকাবিলার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে রাজ্য। ভিডিয়ো কনফারেন্সে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার প্রতিনিধিদের সঙ্গে এই দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করেছেন কেন্দ্রের ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌরা।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর,  আগামী ১৬-১৭ মে মৎসজীবীদের বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণে, ১৭-১৮ মে মধ্য বঙ্গোপসাগরে ও উত্তরের দিকে ১৯-২০ মে মাছ ধরতে যেতে বারণ করা হয়েছে। এইদিনগুলিতে মৎসজীবীদের ওড়িশা উপকূল এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

ওড়িশায় পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৈরি থাকতে বলা হয়েছে RAF,   NDRF, রাজ্যের বিপর্জয় মোকাবিলা বাহিনীকে। কেন্দাপাড়া, ভদ্রক, জগৎসিংপুর ও বাসালোরে পৌঁছে গেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। 

তৈরি থাকতে বলা হয়েছে হাসপাতালগুলিকেও। 



মঙ্গলবার বাংলায় অধিকাংশ জায়গায়  হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। আর বুধবার বেশকিছু জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, সব থেকে বেশি বৃষ্টি হবে উপকূলবর্তী তিন জেলায়- উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে।