নয়াদিল্লি: বেশ কয়েক বছর আগেই খারিজ হয়ে গিয়েছিল তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৬ এ ধারা। কিন্তু তারপরও ওই ধারার ব্যবহার নিয়ে কেন্দ্রকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের। ওই ধারার ব্যবহার নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ওই ধারা খারিজের রায়ের পরও এর প্রয়োগ খুবই বিরক্তিকর বলে মন্তব্য আদালতের।
পিইউসিএলের দায়ের করা আর্জিতে উল্লেখ করা হয় যে., সাত বছর আগে খারিজ হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও ১১ রাজ্যের জেলা আদালতগুলিতে ২০২১-র মার্চ পর্যন্ত এমন ৭৪৫ টি মামলা রয়েছে, যেখানে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৬ এ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আর্জিতে আরও বলা হয়েছে, ২০১৫-র শ্রেয়া সিঙ্ঘল মামলায় ৬৬এ ধারা বাতিল হওয়ার পরও এখনও ১,৩০৭ টি মামলা এই আইনে দায়ের করা হয়েছে।
ইন্টারনেট ফ্রিডম ফাউন্ডেশনের সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী এই আর্জি দায়ের করা হয়।
অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপাল সোমবার সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছেন যে, আইনের বইয়ে আইটি আইনের ৬৬ এ ধারা এখনও রয়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, এই ধারা অসাংবিধানিক বলে খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল। বেণুগোপাল বলেন, আইটি আইনের বইয়ে একটা ছোট তারা চিহ্নিত আকারে ও পাদটিকায় উল্লেখ করে এই ধারা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে খারিজ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ওই পাদটিকা কেউ পড়ে না। তিনি আরও বলেন, ওই ধারাটি এভাবে পড়া উচিত যে, সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিয়েছে। পুরানো লেখা পাদটিকায় রাখা যেতে পারে।
বিচারপতি আরএফ নরিম্যানের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ বলেছে,তারা এই ঘটনায় স্তম্ভিত। ২০১৫-র ২৪ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট এই ধারা খারিজ করে দিয়েছিল। ২০১৫-র রায়ে ওই ধারাকে অস্পষ্ট ও এক তরফা বলে উল্লেখ করেছিল।
আইটি আইন ২০০০-এর ৬৬ এ ধারা অনুযায়ী, অনলাইনে আক্রমণাত্মক মন্তব্যে পোস্টকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গন্য করা হয়েছিল এবং এক্ষেত্রে সাজার মেয়াদ তিন বছরের কারাদণ্ড। আর্জিতে উল্লেখ করা হয়েছ যে, ২০১৫-র পর থেকে এই ধারায় মহারাষ্ট্রে ৩৮১, ঝাড়খণ্ডে ২৯৫ ও উত্তরপ্রদেশে ২৪৫ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।