নয়াদিল্লি: ভারতের ইতিহাসে প্রথমবার স্কুলগুলিতে শিক্ষকদের তুলনায় শিক্ষিকার সংখ্যা বেশি। ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন অন স্কুল এডুকেশনের ২০১৯-২০ সালের রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে। গত সপ্তাহে এই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। সেই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, শিক্ষকের তুলনায় শিক্ষিকার সংখ্যা বেশি। এই রিপোর্ট অনুযায়ী, সারা দেশে এখন ৯৬.৮ লক্ষ শিক্ষক-শিক্ষিকা আছেন। তাঁদের মধ্যে ৪৯.২ লক্ষই শিক্ষিকা।
শিক্ষামন্ত্রকের অধীনস্থ স্কুলশিক্ষা ও সাক্ষরতা দফতর প্রতি বছর দেশে শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা, শিক্ষা বিষয়ক পরিকাঠামো এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করে। সদ্য প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছর ধরেই দেশে শিক্ষিকার সংখ্যা বাড়ছে। ২০১২-১৩ সালের পর থেকে শিক্ষিকার সংখ্যা বৃদ্ধি শুরু হয়েছে। ২০১২-১৩ সালে সারা দেশে শিক্ষকের সংখ্যা ছিল ৪২.৪ লক্ষ এবং শিক্ষিকার সংখ্যা ছিল ৩৫.৮ লক্ষ। তারপর থেকে শিক্ষিকার সংখ্যা ৩৭ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। শিক্ষকের সংখ্যা ৪২.৪ লক্ষ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৭.৭ লক্ষ।
তবে শিক্ষকদের তুলনায় শিক্ষিকাদের সংখ্যা বেশি হলেও, সেটা প্রাথমিক স্তরেই। উচ্চ প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন স্তরে শিক্ষকদের সংখ্যাই বেশি। প্রাক-প্রাথমিক স্তরে এক লক্ষেরও বেশি শিক্ষিকা আছেন। সেখানে শিক্ষকের সংখ্যা ২৭ হাজার। প্রাথমিক স্তরে ১৯.৬ লক্ষ শিক্ষিকা আছেন। এই স্তরে শিক্ষকের সংখ্যা ১৫.৭ লক্ষ। উচ্চ-প্রাথমিক স্তরে শিক্ষিকার সংখ্যা ১০.৬ লক্ষ। সেখানে শিক্ষকের সংখ্যা ১১.৫ লক্ষ। এই পর্যায় থেকেই শিক্ষকের সংখ্যা বেশি। দশম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলগুলিতে শিক্ষক ৬.৩ লক্ষ এবং শিক্ষিকা ৫.২ লক্ষ। উচ্চমাধ্যমিক স্তরে শিক্ষকের সংখ্যা ৩.৭ লক্ষ এবং শিক্ষিকার সংখ্যা ২.৮ লক্ষ।
ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন অন স্কুল এডুকেশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, বেসরকারি বা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত নয় এমন স্কুলগুলিতে শিক্ষকের তুলনায় শিক্ষিকার সংখ্যা বেশি। তবে সরকারি বা সরকারের সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে শিক্ষকের সংখ্যা বেশি। বড় রাজ্যগুলিতে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষিকার তুলনায় শিক্ষকের সংখ্যা বেশি। তবে কেরল, দিল্লি, মেঘালয়, পঞ্জাব ও তামিলনাড়ু ব্যতিক্রম। এই রাজ্যগুলিতে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে শিক্ষকের তুলনায় শিক্ষিকা বেশি।