নয়াদিল্লি: হিন্দুরা এমনিতে দুনিয়ার ‘সবচেয়ে সহনশীল’ মানুষ, কিন্তু অযোধ্যায় রামমন্দিরের ত্রিসীমানায় মসজিদ তৈরির কোনও প্রসঙ্গ উঠলেই তাঁরা ‘অসহনশীল’ হয়ে উঠতে পারেন। বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উমা ভারতী। তাঁর বক্তব্য, পবিত্র মদিনা শহরে যেমন মন্দির বা ভ্যাটিকান সিটিতে মসজিদ তৈরি হতে পারে না, ঠিক তেমনই অযোধ্যায় মসজিদ নির্মাণের কথা বলাটা অন্যায়।
উমা বলেছেন, সব রাজনীতিককে বলব, হিন্দুরা দুনিয়ার সবচেয়ে সহনশীল লোক। দয়া করে অযোধ্যায় রামের জন্মস্থানের কিছুটা দূরে মসজিদ তৈরির কথা বলে তাঁদের ক্ষেপিয়ে তুলবেন না। অযোধ্যা বিতর্কটা জমি সংক্রান্ত, বিশ্বাসের নয়, এই সওয়াল করে তিনি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে বলেছেন, এটা এখন শুধুই জমি সংক্রান্ত বিবাদ, বিশ্বাসের নয়। অযোধ্যা যে রামের জন্মভূমি, এই সত্য প্রতিষ্ঠিত।
আদালতের বাইরে এই বিতর্কিত ইস্যুতে বিরোধ নিষ্পত্তির ওপর জোর দিয়ে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী, সমাজবাদী পার্টি সভাপতি অখিলেশ সিংহ যাদব, বহুজন সমাজ পার্টি নেত্রী মায়াবতী, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব সব নেতা-নেত্রীকেও সমর্থনের ডাক দিয়েছেন উমা। বলেছেন, এই ইস্যুতে সব রাজনৈতিক দলের সমর্থন দরকার আমাদের। আমি রাহুল গাঁধীজী সমেত সব নেতা-নেত্রীকে আমন্ত্রণ করছি। আমার সঙ্গে রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে আসুন। রাহুল এলে তা কংগ্রেসের অতীতের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করা হবে, যারা অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরির পথে সবসময় বাধা দিয়েছে।
মন্দির জাতীয় স্বার্থের ইস্যু বলে দাবি করে উমা বলেন, সমাজবাদী পার্টি নেতা মুলায়ম সিংহ যাদব, মমতা, মায়াবতী, বামেদেরও তা সমর্থন করা উচিত। কিন্তু ওঁরা বিষয়টা মিটিয়ে ফেলতে দিচ্ছেন না। কংগ্রেসের ধর্মের নামে দেশে বিভাজন ঘটানোর অভ্যাস ছাড়তে হবে।
নয়ের দশকে মন্দির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় ভাবে জড়িত উমা রামমন্দির নির্মাণে পুরোপুরি দায়বদ্ধ বলে জানিয়ে বলেন, ওরা যদি বলে, একমাত্র আমার মৃতদেহের ওপরই মন্দির হবে, আমি তাতেও রাজি।