নয়াদিল্লি: কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের সমাবেশে বিজেপি-বিরোধী দলগুলির সঙ্গে একই মঞ্চে থাকলেও, ডিএমকে প্রধান এম কে স্ট্যালিনের কয়েকদিন আগে করা একটি মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। গত মাসে চেন্নাইয়ে তামিলনাড়ুর প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বাবা এম করুণানিধির মূর্তি উন্মোচন করতে গিয়ে স্ট্যালিন বলেছিলেন, দেশ বাঁচানোর জন্য কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর হাত শক্ত করা উচিত সব বিরোধী দলগুলির। তামিলনাড়ু থেকে রাহুলকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী করারও ডাক দেন ডিএমকে প্রধান। ‘ফ্যাসিস্ট’ এনডিএ সরকারকে পরাস্ত করা এবং সুশাসন উপহার দেওয়ার জন্য রাহুলের কাছে আর্জিও জানান স্ট্যালিন। আজ অবশ্য তাঁর দাবি, তিনি শুধু তামিলনাড়ুর মানুষের ইচ্ছার কথা বলেছিলেন।
গতকাল ব্রিগেডের সমাবেশে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বিভিন্ন দলের নেতা বলেন, লোকসভা নির্বাচনের পরে প্রধানমন্ত্রী ঠিক করা হবে। এ বিষয়ে আজ স্ট্যালিনের ব্যাখ্যা, ‘চেন্নাইয়ে ডিএমকে-র সমাবেশে আমি পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাহুল গাঁধীর নাম প্রস্তাব করেছিলাম। এতে কী অসুবিধা আছে? এটা তামিলনাড়ুর মানুষের ইচ্ছা ও আকাঙ্খা। পশ্চিমবঙ্গে তাঁরা (বিরোধী দলগুলির নেতা) ঠিক করেছেন, ভোটের পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। সেটা তাঁদের ইচ্ছা। এটা খুব মজার বিষয় যে আমি যখন এটা বলেছিলাম, তখন সংবাদমাধ্যম প্রশ্ন করেছিল, কেন আমি এ কথা বললাম। গতকাল আমি যখন সেই কথা বলিনি, তখন একই সংবাদমাধ্যম প্রশ্ন করছে, কেন আমি সে কথা বলিনি।’