নয়াদিল্লি: তহেলকার প্রাক্তন সম্পাদক তরুণ তেজপালকে ধর্ষণের মামলা থেকে অব্যাহতি। সহকর্মী মহিলাকে যৌন নিগ্রহের মামলায় তেজপালকে অব্যাহতি দিল  গোয়ার আদালত।গত আট বছর ধরে তেজপালের বিরুদ্ধে এই মামলা চলছিল। তাঁর বিরুদ্ধে এক মহিলা সহকর্মী যৌন নিগ্রহের অভিযোগ এনেছিলেন। ২০১৪-র মে মাসে এই মামলায় জামিন পেয়েছিলেন তিনি। 
২০১৩-র নভেম্বরে ওই মহিলা গোয়ার একটি পাঁচতারা হোটেলের লিফটের ভেতরে তরুণ তেজপাল তাঁকে ধর্ষণ করেছিলেন বলে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর ৩০ নভেম্বর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এই মামলায় তদন্ত চালিয়ে ২০১৪-র ফেব্রুয়ারিতে গোয়া পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে ২৮৪৬ পাতার চার্জশিট দায়ের করেছিল। 


গোয়ার অতিরিক্ত জেলা আদালতে গত  ২৭ এপ্রিল মামলার রায় ঘোষণার কথা ছিল। কিন্তু বিচারপতি ক্ষমা জোশী রায়দান ১২ মে পর্যন্ত স্থগিত রেখেচিলেন। ১২ মে রায়দান ফের ১৯ মে পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়। আদালত এর আগে বলেছিল যে, করোনাভাইরাসজনিত চলতি মহামারী পরিস্থিতিতে কর্মী সংখ্যার কারণে এই মামলা স্থগিত রাখা হয়েছিল। এর আগে তরুণ তেজপাল বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট দায়েরে স্থগিতাদেশের আর্জি জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর আর্জি খারিজ হয়ে যায়।তরুণ তেজপালের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪২ (বলপূর্বক আটক রাখা), ৩৫৪ (সম্ভ্রমহানির জন্য অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ), ৩৫৪-এ (যৌন নিগ্রহ), ৩৭৬ (২) ও ৩৭৬ (ধর্ষণ) ধারায় মামলা দায়ের হয়েছিল।


আদালতের রায়ে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর তরুণ তেজপাল এক প্রেস বিবৃতি জারি করেছেন।বিবৃতিতে তিনি আদালততে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, গত সাড়ে সাত বছর ধরে তাঁর পরিবার এই মিথ্যে অভিযোগের কারণে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল।


তরুণ তেজপালের মেয়ে কারা তেজপাল তাঁর বাবার হয়ে ওই বিবৃতি পাঠ করেন। বিবৃতিতে তরুণ তেজপাল আইনজীবী রাজীব গোমসকে কৃতিত্ব দিয়েছেন। রাজীব গোমস করোনা সংক্রান্ত অসুস্থতায় চলতি মাসেই মারা গিয়েছেন।তরুণ তেজপাল বলেছেন, সিসিটিভি ফুটেজ তাঁর নির্দোষিতা প্রমাণ করেছে।


সরকারের পক্ষ থেকে এই মামলায় উচ্চতর আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানানো হয়েছে।