নয়াদিল্লি: নতুন নতুন জায়গায় যাওয়া এবং ঘুরে বেড়ানো তরুণ, প্রকৃতিপ্রেমী ও অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের অত্যন্ত পছন্দের বিষয়। পাহাড়, উপত্যকার সৌন্দর্য বরাবরই তাঁদের আকৃষ্ট করে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে পর্যটন বন্ধ ছিল। পর্যটনপ্রিয় মানুষজন বাড়িতে বসে থাকতে বাধ্য হন। তবে আনলক পর্যায়ে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। ফের শুরু হচ্ছে পর্যটন। তবে সবাইকেই সাবধানতা অবলম্বন করতে হচ্ছে। করোনা সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচার জন্য সবাইকেই তাঁদের স্মার্টফোনে আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউনলোড করার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই পরিস্থিতিতে মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সংযোগের গুরুত্ব আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গিয়েছে।




শুভম গাঁধী নামে এক ট্র্যাভেল ব্লগার গত আট বছর ধরে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ইউটিউব ও ইনস্টাগ্রামে বহু ব্যক্তি তাঁকে ফলো করেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে শুভমের পক্ষেও কোথাও যাওয়া সম্ভব হয়নি। এখন থেকে তাঁকেও অনেক সাবধানতা অবলম্বন করতে হচ্ছে। এই ট্র্যাভেল ব্লগার জানিয়েছেন, ঘুরে বেড়ানোর সময় উন্নত মোবাইল নেটওয়ার্ক অত্যন্ত জরুরি। শুধু আরোগ্য সেতু অ্যাপের জন্যই না, হোটেলের সন্ধান করা বা গুগল ম্যাপের সাহায্য নিয়ে কোথাও যাওয়ার জন্যও ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন। কোথাও গিয়ে সমস্যায় পড়লে সমাধানের জন্যও ইন্টারনেটের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।

শুভমের কথায়, ‘আমার কাছে ঘুরে বেড়ানোর সময় ইন্টারনেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভ্রমণের অভিজ্ঞতা, রোমাঞ্চ, ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার ইচ্ছা হয়। কেউ যদি সব টেলিকম অপারেটর যাচাই না করে থাকেন, তাহলে তাঁর ইচ্ছা অপূর্ণই থেকে যেতে পারে। কোনও জায়গা বেড়াতে গেলে, সেখানকার আশেপাশে আর কী কী আছে, সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার জন্যও ইন্টারনেট সংযোগ জরুরি।’

নিজের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে শুভম বলেছেন, ‘পার্বত্য অঞ্চলে গেলে মোবাইল নেটওয়ার্ক সংক্রান্ত সমস্যার মোকাবিলা করতে হয়। তবে আমি যেহেতু এয়ারটেল ব্যবহার করি, তাই আমাকে এই সমস্যায় পড়তে হয় না। আমি কোনও পাহাড়ি অঞ্চলে বা প্রত্যন্ত কোনও জায়গায় গেলে কখনও মোবাইল নেটওয়ার্কের সমস্যা হয় না। আমি ২০০৮ থেকে এয়ারটেল ব্যবহার করছি।’



মোবাইল নেটওয়ার্কের বিষয়ে একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন শুভম। তিনি বলেছেন, ‘একবার আমরা কয়েকজন মিলে পাহাড়ে বেড়াতে গিয়েছিলাম। আমার সঙ্গে যারা ছিল, তাদের মধ্যে কয়েকজনের ফোনে নেটওয়ার্ক ছিল না। ওদের নেটওয়ার্ক পাওয়ার জন্য ৩০০ মিটার নীচে নামতে হয়। শুধু আমাদের মধ্যে যে কয়েকজন এয়ারটেল ব্যবহার করি, তাদের সমস্যায় পড়তে হয়নি। যারা এয়ারটেল ব্যবহার করে না, তাদের সামনে সমস্যা মেটানোর জন্য দু’টি রাস্তা ছিল-হয় এয়ারটেল ব্যবহার করতে হত, না হলে মোবাইল নেটওয়ার্ক ছাড়াই ঘুরে বেড়াতে হত।’

এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শুভমের পরামর্শ, কোথাও বেড়াতে গেলে মোবাইল নেটওয়ার্কের সঙ্গে আপস করা উচিত নয়। কারণ, সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্যের বিষয়ে ঝুঁকি নেওয়া হয়ে যেতে পারে। বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেকে মিলে কোথাও যাওয়ার বদলে একা ঘুরে বেড়ানোই উপযুক্ত পন্থা বলে মত শুভমের।