ভারতের এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে এক বিবৃতি দিয়ে টিকটক জানাল, ভারতের স্বার্থে আঘাত লাগে এমন কোনও কাজ তারা করবে না। টিকটক ইন্ডিয়ার প্রধান নিখিল গাঁধী জানান, ভারত সরকারের সিদ্ধান্তকে তারা সম্মান করেন। এই ব্যাপারে সরকারি এজেন্সিগুলির সঙ্গে কথা বলবেন। সেই সঙ্গে নিখিলের দাবি, দেশ 'সুরক্ষার খাতিরে' এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঠিকই, তবে এদেশের ব্যবহারকারীদের কোনও তথ্য তারা চিন প্রশাসনকে দেয়নি। যদি চিন এমন কোনও তথ্য চায়ও, তবুও তাদের হাতে কোনও তথ্য তুলে দেবে না টিকটক ইন্ডিয়া।
টিকটক ইন্ডিয়ার দাবি, ভারতে ১৪ টি ভাষায় টিকটক অ্যাপ আছে। এটি ব্যবহার করেন, বহু শিল্পী, শিক্ষক, গল্পকার। এঁদের রুজিরুটি আসে এই অ্যাপ থেকে। এঁদের অনেকেই আবার প্রথমবার ইন্টারনেট ব্যবহারকারী।
ইতিমধ্যেই গুগল স্টোর থেকে মুছে ফেলা হয়েছে টিকটক। অ্যাপল স্টোরেও পাওয়া যাবে না টিকটক। এই সব অ্যাপ থেকে আর কোনও আপডেট মিলবে না।
যে চিনা অ্যাপগুলিকে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তার মধ্যে বেশ ক’টি জনপ্রিয় অ্যাপ আছে। বিশ্বে যে ২০ কোটি মানুষ এই টিকটক অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করেন, তার ১০ শতাংশই ভারতের। এছাড়াও শেয়ার ইট, ক্যাম স্ক্যানার, ইউসি ব্রাউজার, হ্যালো, এমআই কমিউনিটি, নিউজ ডগ, উইচ্যাট, এক্সেন্ডার, বিগো লাইভ, ভিভা ভিডিও - কিউ ও ভিডিও আইএনসি, সুইট সেলফি, ফোটো ওয়ান্ডার, ক্লিন মাস্টার - চিতা মোবাইলের মতো মোবাইল অ্যাপগুলি।