নয়াদিল্লি: কবে আবিষ্কার হবে করোনার প্রতিষেধক, সেই দিকেই সারা বিশ্ব। বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছিলেন এই বছরের শেষেও যদি করোনার প্রতিষেধক বাজারে আসে, তাহলেও যথেষ্ট। তবে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রতিষেধকের পরীক্ষা যে পর্যায়ে আছে, তা থেকে আশা করাই যায়, সব ঠিকঠাক চললে আরেকটু আগেই ভাল খবর শুনবে বিশ্বের মানুষ।
হু-র দেওয়া তথ্য অনুসারে, সারা বিশ্বে প্রায় ১৪০ টি পরীক্ষার স্তরে। তারমধ্যে শেষ পর্যায়ে আছে ১৬ টি। তার মধ্যে ৫টি চিনের, ৩টি আমেরিকার, ২টি ইউকের, বাকি তিনটি যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি ও রাশিয়ার।



১. অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনটির পরীক্ষা বেশ কিছুটা এগিয়ে। ৮০০ জনের উপর এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে দেখা হবে। ইতিমধ্যেই সংস্থার তরফে ১০ কোটি প্রতিষেধকের ডোজের অর্ডার দেওয়া হয়েছে।



২. অ্যাস্ট্রা-জেনেকা এই প্রতিষেধর প্রস্তুত করার অন্তত ১০ টি চুক্তিতে সই করেছে। এই ভ্যাকসিনটির নাম এখন AZD1222। আগে এটি ChAdOx1 nCoV-19 বলে পরিচিত ছিল।  বিশ্বের মধ্যে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ব্রাজিল। তারাও স্থানীয়ভাবে এই ভ্যাকসিন তৈরি করবে বলে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে চুক্তি করেছে।



৩. গবেষণায় এরপরই এগিয়ে মডার্না ইঙ্ক। পরীক্ষার দ্বিতীয় স্তরে আছে এদের ভ্যাকসিন mRNA-1273.



৪. মডার্না ওষুধপ্রস্তুতকারক সংস্থা ক্যাটালেন্ট ইঙ্কের সঙ্গে তাদের প্রতিষেধকের ১০ কোটি ডোজ তৈরির জন্য চুক্তি করেছে। ফল ইতিবাচক হলে আগামী সেপ্টেম্বরেই শুরু হবে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ। মডার্না জুলাই মাসেই ৩০ হাজার জনের উপর প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করবে।



৫. ক্যাটালেন্ট ভ্যাকসিনের প্যাকেজিং, লেবেলিং থেকে তা মজুত করা ও সরবরাহ করার কাজের দায়িত্বেও থাকবে।



৬. দৌড়ে এগিয়ে স্যানোফি-গ্ল্যোক্সোস্মিথক্লাইনও। স্যানোফি একটি ফরাসি সংস্থা। ব্রিটিশ সংস্থা GSK র সঙ্গে এরা ভ্যাকসিন তৈরির জন্য চুক্তি করেছে। স্যানোফি জানিয়েছে তারা একাধিক ভ্যাকসিন নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছে। সব ঠিক চললে এই বছরই তারা ১০ কোটি ডোজ তৈরি করে ফেলবে।



৭. জার্মান সংস্থা BNTECH, প্রখ্যাত ওষুধপ্রস্তুতকারক কোম্পানি পিফাইজার Pfizer এর সঙ্গে জোট বেঁধে করোনা প্রতিষেধক তৈরির গবেষণায় রত। তাদের তৈরি প্রতিষেধক হবে আরএনএ প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল। Pfizer আগামী অক্টোবর থেকেই ভ্যাকসিন প্রস্তুতি শুরু করতে পারে।



৮. চিনা সংস্থা সিনোভ্যাক বায়োটেক জানিয়েছে তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার জন্য তারা তৈরি। দাবি, প্রথম দুই পর্যায়ে তাদের ভ্যাকসিন মানবশীরে সফল ভাবে পরীক্ষিত হয়েছে। এর কোনও নেতিবাচক প্রভাবও চোখে পড়েনি।



৯. অপর চিনা সংস্থা ক্যানসিনো বায়োলজিকসের দাবি তাদের তৈরি ভ্যাকসিন Ad5  পরীক্ষায় ৮০ শতাংশ মানুষের উপরই ভাল কাজ করেছে।



১০. মার্কিন সংস্থা নোভাভ্যাক্স , তাদের তৈরি ভ্যাকসিন NVX-CoV2373-এর মানবশরীরের উপর পরীক্ষা চালাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায়।