আগরতলা: ত্রিপুরায় মহিলা ভোটব্যাঙ্ক দখলই প্রথম লক্ষ্য। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের আগে, আগরতলায় জানালেন সুস্মিতা দেব। অন্যদিকে নাম না করে, বাংলার তৃণমূল নেতাদের ডেইলি প্যাসেঞ্জার বলে কটাক্ষ করেছেন বিশালগড়ের বিজেপি নেতা। সোনার ত্রিপুরা গড়বে তৃণমূলই। ট্যুইটারে পাল্টা জবাব দিয়েছে কুণাল ঘোষ।
হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ...মারধর...গত বুধ ও বৃহস্পতিবার এভাবেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ত্রিপুরায়। তা নিয়ে এখনও সরগরম সে রাজ্যের রাজনীতি। এরইমধ্যে ১৫ সেপ্টেম্বর বুধবার ত্রিপুরা যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন আগরতলায় পদযাত্রা করার কথা রয়েছে তাঁর। এ নিয়ে সাম্প্রতিককালে তৃতীয়বার উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে পা রাখতে চলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
তার আগে শনিবার আগরতলায় অন্যান্য দল থেকে তৃণমূলে যোগ দেন বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেছেন, ত্রিপুরায় কোনও উন্নয়ন যেমন বাম আমলে হয়নি। তার থেকেও খারাপ অবস্থা বিজেপি আসার পর। না উন্নয়ন আছে, না মহিলাদের সম্মান আছে। প্রতিদিন দেখছি রাস্তায় আগুন জ্বলছে। অভিষেক পাঠিয়েছেন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।
২০২৩-এর বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরার ক্ষমতা দখলকে পাখির চোখ করেছে বাংলার শাসকদল। আর সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে সে রাজ্যের মহিলা ভোট নিজেদের দিকে টানতে মরিয়া তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রাক্তন সাংসদ তথা তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেব বলেছেন, ত্রিপুরায় মহিলারা জনসংখ্যার প্রায় ৪৯ শতাংশ। মহিলাদের একটা ভিন্ন ভোট ব্যাঙ্ক রয়েছে। মহিলাদের ইউনিক চাহিদা যদি কেউ বোঝেন, সেটা হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
চুপ করে বসে নেই বিজেপিও। বঙ্গ বিধানসভা ভোটে, নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা-সহ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বারবার বাংলায় প্রচারে আসা নিয়ে, কখনও ‘বহিরাগত’, কখনও ‘ডেলি প্যাসেঞ্জার’ বলে কটাক্ষ করেছিল তৃণমূল।এবার বিজেপিশাসিত ত্রিপুরায়, বাংলা থেকে তৃণমূল নেতাদের ঘনঘন সে রাজ্যে যাওয়া নিয়ে নাম না করে, পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। ত্রিপুরার বিশালগড়ের বিজেপি মণ্ডল সভাপতি সুশান্ত দেব ফেসবুকে লিখেছেন, এইবার ডেলি প্যাসেঞ্জারি নেতাদের পালা। আমিও রবো, তুমিই রবে।এবার ডেলি প্যাসেঞ্জারিদের নিয়ে যা হওয়ার হবে।
বিজেপি নেতার এই ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশট ট্যুইটারে শেয়ার করে আবার কুণাল ঘোষ লিখেছেন, বিজেপির ত্রিপুরার ভাষা।আমরা ডেলি প্যাসেঞ্জারদের হারিয়েছিলাম ভোটে।ওটা ছিল ‘সুনার বাঙ্গাল’ আর ‘সোনার বাংলা’র লড়াই।আগরতলাতেও তৃণমূল ‘সোনার ত্রিপুরা’ই গড়বে।বাংলা, ত্রিপুরা একই পরিবারের দুটি ঘর।গুন্ডামির ভাষাকে কীভাবে লজ্জাজনক পরাজয়ে পরিণত করিয়ে দিতে হয়, আমরা জানি।