রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ : দুয়ারে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে জনসংযোগের লক্ষ্য়ে, দিদির সুরক্ষাকবচ এবং দিদির দূতের মতো কর্মসূচি নিয়ে ময়দানে নেমেছে তৃণমূল। বুধবার সেই কর্মসূচিতে, এক গ্রামে গিয়ে, ক্ষোভের মুখে পড়লেন 'দিদির দূত' । মুর্শিদাবাদের তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খান। যিনি মুর্শিদাবাদ বহরমপুর সাংগঠনিক চেয়ারম্য়ানও। তাঁকে সামনে পেয়ে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা মিলছে না বলে অভিযোগ জানিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন গ্রামবাসী এক মহিলা এবং তাঁর স্বামী।


'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এখনও চালু হয়নি'


ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী এক মহিলা বললেন, দিন খাটি, দিন খাই। 
সাংসদ আবু তাহের তাঁকে প্রশ্ন করেন,  আপনার ব্য়াঙ্ক অ্য়াকাউন্টে, ব্য়াঙ্কে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকাটা পড়ে?
গ্রামবাসী বলেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এখনও চালু হয়নি।
গ্রামবাসী এক পুরুষ বলেন, ঢোকে না। আমি একশোবার জমা দিয়েছি। মেম্বারের কাছে অঞ্চলে জমা দিয়ে এসেছি। কিন্তু, আমার হয়নি। সবার হয়েছে, আমারটা বাদ দিয়েছে।


'তৃণমূল সাংসদের কাছে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা' 

দিদির দূত কর্মসূচিতে, তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা সাধারণ মানুষের কাছে যাচ্ছেন এবং খোঁজ নিচ্ছেন, তাঁরা সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন কিনা। বুধবার ভরতপুরের শিমুলগাছি গ্রামে যান তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খান। ঘুরে ঘুরে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এরপরই দাওয়ায় বসে থাকা এই মহিলা ও তাঁর স্বামীর সঙ্গে কথা বলতে যান তৃণমূল সাংসদ। সরকারি প্রকল্পের কথা উঠতেই তৃণমূল সাংসদের কাছে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা


তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খানকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ' দুশো পরিবার রয়েছে। অধিকাংশ পেয়েছে। কিছু পায়নি। যাতে পায় সুনিশ্চিত করব।' 

গ্রামবাসীদের অভিযোগকে হাতিয়ার করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে দেরি করেনি বিরোধীরা।



দিদির দূত প্রকল্প কী 


পঞ্চায়েত ভোটের আগে জনসংযোগে শান দিতে তৃণমূলের নতুন কর্মসূচি দিদির সুরক্ষাকবচ। যা শুরু হচ্ছে ১১ জানুয়ারি থেকে। তৈরি করা হয়েছে দিদির দূত নামে একটি অ্যাপ। উদ্দেশ্য রাজ্য সরকারের ১৫টি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সুবিধাকে সাধারণ মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দেওয়া।


সামনে পঞ্চায়েত ভোট। সাধারণ মানুষের একাংশের এই ক্ষোভের আঁচ কি ভোটবাক্সে পড়বে? নাকি জনসংযোগে ভর করে, তা সামাল দিতে পারবে তৃণমূল? সেই উত্তর দেবে সময়।