কলকাতা: বৃহস্পতিবার ত্রিপুরার আগরতলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রা হবে, জানালেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, বুধবারের বদলে বৃহস্পতিবার হবে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের পদযাত্রা।  রবীন্দ্র ভবন থেকে ওরিয়েন্ট চৌমোহনী পর্যন্ত পদযাত্রা হবে, জানালেন কুণাল ঘোষ। 
আগামী বুধবার ১৫ সেপ্টেম্বর দুপুর দুটোয় আগরতলার রবীন্দ্র ভবন থেকে ওরিয়েন্ট চৌমোহনী পর্যন্ত অভিষেকের পদযাত্রা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ত্রিপুরা পুলিশ এই পদযাত্রার অনুমতি দেয়নি। ওই রুটে ওই দিন অন্য রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই কর্মসূচিতে আগেই অনুমতি দেওয়া ছিল। তাই এই পদযাত্রার অনুমতি দেওয়া যাবে না, জানিয়েছে ত্রিপুরা পুলিশ।


তৃণমূল অবশ্য এই ঘটনায় ত্রিপুরার ক্ষমতাসীন বিজেপিকে আক্রমণ করেছে। কুণাল ঘোষ বলেছেন, ভয় পেয়ে কুৎসিৎ চক্রান্ত করছে বিজেপি। অভিষেককে ভয় পেয়ে তাঁকে থামাতে নেমেছে বিজেপি। অভিষেক পথে নামলে জনস্রোত নামবে। এভাবে তৃণমূলকে থামানো যাবে না। পরে কুণাল জানান, বুধবারের পরিবর্তে বৃহস্পতিবার আগরতলায় অভিষেক পদযাত্রা করবেন। 


অন্যদিকে, ত্রিপুরা বিজেপির অভিযোগ  ত্রিপুরাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। ভোট কাটাকাটির অঙ্কে সিপিএমকে সুবিধা করে দিতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। ত্রিপুরায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করে একটি সর্বভারতীয় ইস্যু তৈরি করতে চায় তৃণমূল।


বিজেপির এই অভিযোগ সম্পূর্ণ খারিজ করে দিয়েছে তৃণমূল। তাদের বক্তব্য, ত্রিপুরায় গণতন্ত্র নেই। অভিষেক এলে তৃণমূলের পক্ষে জনসমর্থন চলে আসবে। এটাই বিজেপির ভয়।


২০২৩-এর বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে, ত্রিপুরা দখল করতে আদাজল খেয়ে নেমে পড়েছে তৃণমূল। আগস্টের একদম শুরুতে টিম পিকে-র ২৩ জন সদস্যকে হোটেলবন্দি করা ও কোভিড বিধিভঙ্গের অভিযোগে মামলা রুজু করায় ত্রিপুরায় তৃণমূল-বিজেপির চাপানউতোর শুরু হয়। এরই মধ্যে বিশ্রামগড়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে বিজেপি কর্মীদের হামলার অভিযোগে আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ত্রিপুরার রাজনীতি। আগরতলায়  তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক  বিমানবন্দর থেকে  ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরের দিকে যাওয়ার সময় মাঝপথে তাঁর গাড়িতে লাঠির বাড়ি মারা হয়। সেই ভিডিও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই ট্যুইট করেন।