অর্ণব মুখোপাধ্যায়, আমবাসা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরায় ফের তৃণমূলের ওপর হামলার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল ধলাই জেলার সেই আমবাসা, যেখানে এর আগেও আক্রান্ত হন তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা।


রবিবার ওই এলাকার একটি বাড়িতে বৈঠকের ডাক দিয়েছিল তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব। অভিযোগ, সেখানে চড়াও হন বিজেপির লোকজন। ছিঁড়ে দেওয়া হয় জামা। তৃণমূল কর্মী বিনোদ দেবনাথের অভিযোগ, তিনি বৈঠকের পর বেরিয়ে যাওয়ার সময় বিজেপির লোকজন এসে নানা প্রশ্ন করতে শুরু করে। তারপরেই পিছন থেকে আক্রমণ করা হয়।


আমবাসায় তৃণমূল কর্মীদের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।


যদিও এদিনের ঘটনায় তাদের কেউ জড়িত নয় বলে দাবি করেছে বিজেপি।


মাসখানেক আগে আমবাসায় আক্রান্ত হন যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু ভট্টাচার্য, ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত যুব তৃণমূল নেত্রী জয়া দত্ত ও সুদীপ রাহা। সেবারও হামলার অভিযোগ উড়িয়ে দেয় বিজেপি। ওই ঘটনার পর দেবাংশুদেরই গ্রেফতার করে পুলিশ। যার প্রতিবাদে ত্রিপুরায় ছুটে যান তৃণমূলের সর্বভারতীর সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্য নেতারা। অভিযোগ, রবিবার সেই আমবাসাতেই ফের আক্রান্ত হয় তৃণমূল।


যদিও বিপ্লব দেবের রাজ্যে সংগঠন বাড়াতে কোনও খামতি রাখছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। এদিনও আগরতলায় বিভিন্ন দল থেকে ২৯২ জন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।


এই প্রেক্ষিতে নাম না করে তৃণমূল নেতৃত্বকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে অভিযোগ করে ফেসবুকে দলত্যাগীদের গ্রেফতার করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। তিনি লিখেছেন, ‘এখানে যাদের দলে টানছে, তারা অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। আমার কাছে তথ্য প্রমাণ রয়েছে, যার ভিত্তিতে তাদের আমি গ্রেপ্তার করাব।’


অন্যদিকে, শিক্ষক দিবসে কালা দিবস হিসেবে পালন করলেন ত্রিপুরায় স্থায়ী চাকরির দাবিতে আন্দোলনে সামিল ১০ হাজার ৩২৩ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদ মিছিল করেন তাঁরা। ইতিমধ্যে এই শিক্ষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূলও।