নয়াদিল্লি: ১৯৮৪-র শিখ-বিরোধী দাঙ্গায় কংগ্রেস জড়িত ছিল না বলে রাহুল গাঁধীর দাবিকে কেন্দ্র করে শাসক দলের তোপের মুখে দলীয় মুখপাত্র অভিষেক মনু সিংভি আসরে নেমে সওয়াল করলেন, তাঁরা পরবর্তীকালে কী কী করেছেন।
কংগ্রেস সভাপতি সাম্প্রতিক ব্রিটেন সফরে সেদেশের পার্লামেন্ট সদস্য ও স্থানীয় নেতাদের সামনে বলেন, শিখ-বিরোধী দাঙ্গা, হিংসা নিঃসন্দেহে এক ট্র্যাজেডি, ভীষণ যন্ত্রণার, কিন্তু সেই ঘটনায় কংগ্রেসের যুক্ত থাকার অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন, যা নিয়ে কংগ্রেসকে চেপে ধরেছে বিজেপি, তার শরিক শিরোমণি অকালি দল। সেই দলের দাবি, কংগ্রেস সভাপতির ওই মন্তব্য গোটা শিখ সম্প্রদায়ের কাছে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটের সমান!
পাল্টা সিংভি বলেন, লাগাতার রাহুল গাঁধীর বক্তব্য বিকৃত করে অসত্য, মিথ্যাকে সত্য করে তোলা যাবে না। তাঁদের বিরোধীদের রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য ট্র্যাজিক ঘটনাবলী নিয়ে উন্মাদনা ছড়ানো উচিত নয় বলেও অভিমত জানান তিনি। কংগ্রেস শিখ দাঙ্গার পর কী করেছে, সেই তালিকা পেশ করে শিরোমণি অকালি দলের কাছে তিনি জানতে চান, ২০০২–এ গুজরাত দাঙ্গার পর তাদের বড় শরিক বিজেপি কী করেছিল। বলেন, অকালি দলের প্রশ্ন করা উচিত, কংগ্রেস ১৯৮৪-র দাঙ্গার পর যা করেছিল, ২০০২-এ গুজরাতে মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মোদী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ সেখানকার দাঙ্গার ক্ষেত্রে তেমন কিছু করেছিলেন কি?


সিংভি বলেন, কংগ্রেস এই মঞ্চ থেকে, সারা দেশে অন্তত এক হাজারবার ওই ট্র্যাজিক ঘটনাবলীর নিন্দা করেছে, তাকে সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক অধ্যায় বলেছে, কখনও সরাসরি বা পরোক্ষে তা সমর্থন করেনি। এমনকী সেই সময়কার প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত ক্ষমা চেয়েছেন। ১৯৮৪-র শিখ-বিরোধী দাঙ্গায় হাত থাকার অভিযোগের জেরে দলের অনেক সিনিয়র নেতার রাজনৈতিক কেরিয়ার মার খেয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, ওঁদের অনেকের ফৌজদারি বিচার হয়েছে, কয়েকজন দোষী ঘোষিত হয়েছেন, কয়েকজনের ক্ষেত্রে রায় এখনও ঘোষণা হয়নি, কিন্তু কখনও কংগ্রেস নাক গলায়নি।