নয়াদিল্লি: উন্নাওয়ের ধর্ষিতার অবস্থা খুবই সঙ্কটজনক। তাকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছে। দিল্লি উড়িয়ে নিয়ে গ্রিন করিডর তৈরি করে রাজধানীর সফদরজং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে। তার চিকিত্সার দায়িত্বে থাকা ডাক্তাররা জানিয়ে দিয়েছেন, নিগৃহীতার শেষ পর্যন্ত বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। সেখানকার বার্ন অ্যান্ড প্লাসটিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডঃ শলব কুমার বলেছেন, রোগীর অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক, তিনি ভেন্টিলেটরে রয়েছেন। তার বেঁচে যাওয়ার আশা খুবই কম। বৃহস্পতিবারই বিমানবন্দর থেকে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার রাস্তায় কোনওরকম বাধা-বিঘ্ন যাতে না ঘটে, সেজন্য গ্রিন করিডর তৈরি করে দিল্লি ট্রাফিক পুলিশ।
হাসপাতালের মেডিকেল সুপার ডঃ সুনীল গুপ্তা বলেন, একেবারে ওই রোগীর জন্যই বিশেষ আইসিইউ রুম বানিয়েছি আমরা। একদল ডাক্তার তাঁর স্বাস্থ্যের অবস্থার দিকে সারাক্ষণ নজর রাখছেন। ৯০ শতাংশের বেশিই দগ্ধ হওয়ার ফলে তাঁর বাঁচার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।
ধর্ষণের ক্ষত শরীরে বহন করে চলা মেয়েটিকে হাতের সামনে পেয়ে দুই অভিযুক্ত সহ ৫ জন তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। ধর্ষিতা আদালতে যাচ্ছিল, তখনই এ ঘটনা ঘটে। তার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। গত বছর তাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত দুজনের একজন ১০ দিন আগে জামিনে ছাড়া পায়। বাকিরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তবে বৃহস্পতিবার সকালে মেয়েটিকে জ্বালিয়ে দেওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ৫ জনই ধরা পড়ে। গতকাল রাতেই নির্যাতিতাকে লখনউয়ের শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি হাসপাতাল থেকে বিমানে আনা হয় দিল্লিতে।
চলতি বছরের মার্চে মেয়েটি ধর্ষণের মামলা রুজু করেন। উন্নাওয়ের স্থানীয় আদালতে বিচার চলছে মামলার। পুলিশ জানিয়েছে, মামলার শুনানিতে হাজিরা দিতে আদালতে যাচ্ছিল সে। রাস্তায় ৫ জন তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। ৫ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে।
গতকালই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ গোটা ঘটনাটি শুনে জানান, নির্যাতিতার চিকিত্সার খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার, অভিযুক্তদের বিচারের ক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।