হায়দরাবাদ:  হায়দরাবাদে পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় চার অভিযুক্তের এনকাউন্টারে মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসতেই চর্চার কেন্দ্রে ভিসি সজ্জনার। বলা হচ্ছে, দুঁদে এই পুলিশ অফিসারের জন্যই অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা পণ্ড হয় অভিযুক্তদের। সোশ্যাল মিডিয়াতে চলছে সজ্জনারের নামে জয়ধ্বনি।


কে এই ভিসি সজ্জনার? সাইবারাবাদের বর্তমান পুলিশ কমিশনার সজ্জনার। তাঁকে এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট বলা হয়। এই মুহূর্তে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইটে তিনি নায়কের সম্মান পাচ্ছেন। তাঁর ছবি ও বিভিন্ন অপরাধদমনের কাহিনি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। হায়দরাবাদে পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে খুন করার ঘটনায় অভিযুক্তদের এনকাউন্টারে মৃত্যুর পর সজ্জনারকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত আমজনতা।

দুঁদে এই পুলিশ অফিসারের চাকরিজীবনে একাধিক এনকাউন্টারের নজির আছে। নকশাল নেতা নঈমুদ্দিন ওরফে নঈমকে এনকাউন্টার করে মারার ঘটনায় শিরোনামে উঠে এসেছিল সজ্জনারের নাম। ২০০৮ সালে এক কলেজছাত্রীর উপর অ্যাসিড আক্রমণ হয়। ওই এলাকার দায়িত্বে তখন সজ্জনার। ওই ঘটনায় তীব্র বিক্ষোভ ছড়িয়েছিল গোটা অন্ধ্রপ্রদেশে। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি উঠেছিল। অ্যাসিড আক্রান্ত ছাত্রী কাকাতিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে পড়তেন। প্রধান অভিযুক্ত শ্রীনিবাস, হরিকৃষ্ণ ও সঞ্জয়কে গ্রেফতার করা হয়। ঠিক এমনই এক ভোররাতে তিনজনকেই এনকাউন্টার করা হয়েছিল।










অন্ধ্রপ্রদেশের মাওবাদী কার্যকলাপ রুখতেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল সজ্জনারের। হায়দরাবাদের উপকণ্ঠে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় মাওবাদী নেতা নঈমের। যদিও অনেকেই দাবি করেছিলেন, গোটা ঘটনাই সাজানো। পরে অনেক মাওবাদী নেতাকে গ্রেফতার করেছিলেন ১৯৯৬ ব্যাচের আইপিএস অফিসার সজ্জনার। একসময়ে রাজ্য গোয়েন্দা দফতরের ইন্সপেক্টর জেনারেল পদে ছিলেন। মানবাধিকার কর্মীরা তাঁর বিরুদ্ধে একাধিকবার সরব হয়েছেন। কিন্তু তাতে অবিচলই থেকেছেন সজ্জনার।