নয়াদিল্লি: ভারতে বায়ু দূষণের জন্য পাকিস্তান, চিনকে দায়ী করলেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি নেতা বিনীত অগ্রবাল। ওই দুটি দেশের কেউ একজন ভারতে বিষাক্ত গ্যাস ছড়িয়ে থাকতে পারে, যেজন্য রাজধানী ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে দূষণের মাত্রা লাগামছাড়া হয়েছে বলে অভিমত জানিয়েছেন তিনি।
মিরাটে তাঁকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা বলেছে, ভারতে বিষাক্ত গ্যাস ছড়িয়ে থাকতে পারে কোনও প্রতিবেশী দেশ যারা আমাদের ভয় পায়। আমার ধারণা, পাকিস্তান বা চিন আমাদের ভয় করে। পাকিস্তান কোনও বিষাক্ত গ্যাস ছড়িয়েছে কিনা, গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা উচিত আমাদের।
বিনীত বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই পাকিস্তান বিপাকে পড়েছে, হতাশ। আজ পর্যন্ত কোনও একটি যুদ্ধেও জয়ী হতে না পেরে ভারতের বিরুদ্ধে সব ধরনের কৌশলই কাজে লাগাচ্ছে ওরা।
দিল্লিতে ভয়াবহ বায়ু দূষণের জন্য মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল পাশের রাজ্য হরিয়ানা, পঞ্জাবের চাষিদের ফসল পোড়ানোকে দায়ী করায় তাঁরও সমালোচনা করেন বিনীত। বলেন, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী সহ অনেকে বলেছেন, ফসল জ্বালানো, কলকারখানার গ্যাস, বর্জ্য নিষ্ক্রমণের জন্য বায়ু দূষণ হচ্ছে। চাষিরা আমাদের দেশের মেরুদণ্ড। এজন্য কৃষক ও কলকারখানাকে দোষ দেওয়া উচিত নয়।
মোদি, অমিত শাহকে ভগবান কৃষ্ণ ও অর্জুন বলে উল্লেখ করে বিজেপি নেতাটি যাবতীয় সমস্যার সমাধান তাঁরাই করবেন বলেও জানান। বলেন, এটা কৃষ্ণ, অর্জুনের রাজ। মোদি কৃষ্ণ, অমিত শাহ অর্জুন হয়ে একসঙ্গে সব ঠিক করবেন।
দিল্লি-এনসিআর এলাকায় বাতাসের গুণমান ‘ভয়াবহ’ ও ‘খুব খারাপ’-এই দুই পর্যায়ের মধ্যেই ঘোরাফেরা করছে। কেন্দ্রের তরফে উত্তর কলকাতার বায়ু দূষণের হাল খতিয়ে দেখে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্ট বায়ু দূষণ রোধে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও পঞ্জাব ও হরিয়ানায় ফসল পোড়ানো বন্ধ হয়নি। মঙ্গলবার রাজধানীর বায়ু দূষণজনিত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবারই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, পঞ্জাব, হরিয়ানায় ফসল জ্বালানো সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে। বলা হচ্ছে, দিল্লি-এনসিআরে দূষণের ৪৬ শতাংশই ফসল পোড়ানোর জন্য।