লখনউ: উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) ফের গেরুয়া ঝড়। সাইকেলকে বুলডোজারে পিষে, লখনউয়ের তখতে আবার যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) দল। তিন দশক পর উত্তরপ্রদেশে টানা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফিরল কোনও সরকার। রেকর্ড গড়ল বিজেপি। নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) ঐতিহাসিক জয় উপহার দিলেন যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। 


গতবারের থেকে আসন বাড়লেও, বিজেপির (BJP) থেকে অনেক পিছনে রইল অখিলেশ যাদবের (Akhilesh Yadav) সমাজবাদী পার্টি (Samajwadi Party)। গোরক্ষপুরে বিপুল ভোটে জয়ী হলেন যোগী আদিত্যনাথ। বিজেপির প্রাপ্ত ভোট গতবারের চেয়েও বাড়ল। প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর (Priyanaka Gandhi) মাটি কামড়ে লড়াইয়ের পরও, উত্তরপ্রদেশে বিন্দুমাত্র দাগ কাটতে পারল না কংগ্রেস (Congress)। উল্টে গতবারের চেয়েও আসন কমে গেল তাঁদের। একদা গড় রায়বরেলি (Raebareli) ও অমেঠিতেও (Amethi) একটিও আসনে জিততে পারল না কংগ্রেস।


লোকসভা ভোটের দু’বছর আগে উত্তরপ্রদেশের ভোটকে অনেকে দেখছিলেন লিটমাস টেস্ট হিসেবে। সেই পরীক্ষায় সসম্মানে উতরে গেল বিজেপি। উত্তরপ্রদেশের ভোট-প্রচারে যোগী আদিত্যনাথের সভায় দেখা যাচ্ছিল বুলডোজার। ভোটের ফলে সেই বুলডোজারের মতোই বিরোধীদের গুঁড়িয়ে দিল তাঁর দল। 


উত্তরপ্রদেশের বিধানসভায় আসন সংখ্যা ৪০৩। হেলায় ম্যাজিক ফিগার টপকে আড়াইশো ছাড়িয়ে গেল বিজেপি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সমাজবাদী পার্টি গতবারের থেকে দ্বিগুণের বেশি আসন পেলেও, বিজেপির চেয়ে অনেক পিছিয়ে। প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর ঝোড়ো প্রচারের পরও কংগ্রেস ধরাশায়ী। একসময় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন যে মায়াবতী, তাঁর দলকে এবারের ভোটে খুঁজেই পাওয়া গেল না।


কৃষকদের গাড়ি দিয়ে পিষে মারার ঘটনা ঘটেছিল লখিমপুর খেরিতে (Lakhimpur Kheri)। নাম জড়িয়েছিল মোদি মন্ত্রিসভার সদস্যের ছেলের। সেই লখিমপুর খেরিতে জয়ী হল বিজেপি। 


কিশোরীকে ধর্ষণ, তাঁর মৃত্যু, রাতের অন্ধকারে দেহ দাহ করে দেওয়ার মতো ভয়ঙ্কর ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের হাথরস (Hathras)। সেখানেও জয়ী হল বিজেপি।


ধর্ষণকাণ্ডে উত্তাল হয়েছিল উন্নাও (Unnao)। শেষ অবধি দোষী সাব্যস্ত হন বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গার। সেখানেও ভোটে জিতল বিজেপি। নিগৃহীতার মাকে ভোটে প্রার্থী করেছিল কংগ্রেস। তাঁর শোচনীয় পরাজয় হল।