চন্ডীগড়: পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফল ছিল বৃহস্পতিবার। পাঁচটির মধ্যে চারটি রাজ্যেই বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে বিজেপি। কিন্তু সবচেয়ে চমকপ্রদ ফল পাঞ্জাবের। সীমান্তরাজ্যটিতে সব হিসেব উল্টিয়ে ক্ষমতা আসছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি (AAP)। প্রায় ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে পাঞ্জাবের তখতে থাকা কংগ্রেস। ছারখার পাঞ্জাবের অত্যন্ত শক্তিশালী আঞ্চলিক রাজনৈতিক শক্তি শিরোমণি আকালি দলও। শুধু তাই নয়, কংগ্রেস হোক বা শিরোমণি আকালি দল, একের পর এক বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদের হার হয়েছে তুলনামূলক নবীন আপের প্রার্থীদের কাছে। সেই তালিকায় রয়েছেন, শিরোমণি আকালি দলের প্রধান এবং পাঞ্জাবের একাধিকবারের মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিংহ বাদলও। লাম্বি বিধানসভা কেন্দ্রে আম আদমি পার্টির প্রার্থী গুরমিত সিংহ খুদিয়ানের কাছে পরাজিত হয়েছেন পাঞ্জাবের এই বর্ষীয়ান নেতা।
আপের প্রার্থী গুরমিত সিংহ খুদিয়ান পেয়েছেন ৬৬ হাজার ৩১৩টি ভোট। সেখানে প্রকাশ সিংহ বাদল পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৯১৭টি ভোট। আপ প্রার্থীর জয়ের ব্যবধান এগারো হাজার ভোটেরও বেশি।
পাঞ্জাবের রাজনীতিতে প্রকাশ সিংহ বাদল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। ১৯৭০-৭১ এ পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। ফের ১৯৭৭ থেকে ১৯৮০, ১৯৯৭ থেকে ২০০২ এবং ২০০৭ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত টানা দশ বছর পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর পদে ছিলেন প্রকাশ সিংহ বাদল। এই বিধানসভা নির্বাচনে বাদল পরিবারের একাধিক প্রার্থী হারের সামনে পড়েছেন। তবে নির্বাচনে প্রকাশ সিংহ বাদলের হার শিরোমণি আকালি দলের কাছে সবচেয়ে বড় ধাক্কা। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
নির্বাচনের আগে বহুবার পাঞ্জাবের রাজনীতির মানচিত্রে পরিবর্তন এসেছে। বিজেপির দীর্ঘদিনের শরিক ছিল শিরোমণি আকালি দল। কৃষি আইন নিয়ে মতান্তরের জেরে বিজেপির সঙ্গ ছাড়ে শিরোমণি আকালি দল। কারণ ওই আইনে সবচেয়ে বেশি প্রতিবাদ হয়েছিল পাঞ্জাব থেকেই। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করেন, বিধানসভা নির্বাচনের দিকে নজর রেখেই বিজেপির সঙ্গ ছেড়েছিল শিরোমণি আকালি দল। কিন্তু তারপরেও পঞ্জাবের সাধারণ ভোটারদের সমর্থন পেল না তারা। ভোটের ময়দানে মুখ থুবড়ে পড়লেন নেতারাও।