লখনউ: উত্তরপ্রদেশে আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে জেলা পঞ্চায়েতের চেয়ারম্যান নির্বাচনে ৭৫ টির মধ্যে ৬৫ টি আসনই গিয়েছে রাজ্য ক্ষমতাসীন বিজেপির দখলে। সমাজবাদী পার্টি পেয়েছে মাত্র ৬ টি আসন। বুন্দেলখণ্ডে কোনও আসনই পায়নি বিরোধীরা। এই অঞ্চলে সমস্ত আসনই দখল করেছে বিজেপি।
সমাজবাদী পার্টির গড় বলে পরিচিত বদাউন। সেই বদাউনেও জয়ী হয়েছে বিজেপি। এছাড়াও হাথরস, বারাবাঁকি, ফিরোজাবাদ, প্রয়াগরাজ সহ জেলা পঞ্চায়েতের চেয়ারম্যান পদে ৬৫ আসনে বিজেপি জয়ী হয়েছে। ফিরোজাবাদে জেলা পঞ্চায়েত চেয়ারম্যান পদের নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী হর্ষিতা সিংহ। সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী কাঁদতে কাঁদতে আধিকারিকদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন।
এটা-তে জিতেছেন সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী
এটা জেলায় সমাজবাদী পার্টির জেলা পঞ্চায়েতের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রেখা যাদব তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির বিনীতা যাদবকে ২০ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছেন। রেখা যাদব পেয়েছেন ২৪ ভোট এবং বিনীতা যাদব পেয়েছেন ৪ ভোট। বাকি দুজন ভোটদানে বিরত থাকেন।
যে ৫৩ জেলায় নির্বাচন
উত্তরপ্রদেশের চান্দোলি, হাপুড়, সুলতানপুর, মির্জাপুর, রায়বরেলি, মথুরা, ফিরোজাবাদ, বিজনৌর, হমিরপুর, মুজফফরনগর, সোনভদ্র, বালিয়া, গাজিপুর, উন্নাও, হরদৌই, কুশিনগর, মৈনপুরী, প্রতাপগড়, কনৌজ, জালাউন, মহারাজগঞ্জ, সন্ত কবিরনগর, লখিমপুর, বদাউন, প্রয়াগরাজ, অমেঠি, ভদোহি,বারাবাঁকি, ফারুকাবাদ,সম্ভল, বস্তি, ফতেহপুর, শামলি, আলিগড়, জৌনপুর, কাসগঞ্জ, আজমগড়, সিদ্ধার্থনগর, এটা, অযোধ্যা, রামপুর, সীতাপুর, আরাইয়া, কানপুর নগর, কানপুর দেহাত, অম্বেডকরনগর, বরেলি, কৌশাম্বি, হাথরস, দেবরিয়া ও লখনউয়ে জেলা পঞ্চায়েতের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হয়েছে।
২২ জেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত
উত্তরপ্রদেশে ২২ জেলায় জেলা পঞ্চায়েত চেয়ারম্যান নির্বাচন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হয়েছে। এরমধ্যে ইটাওয়া জেলা ছাড়া বাকি জেলাগুলি ক্ষমতাসীন বিজেপির প্রার্থীই জেলা পঞ্চায়েতের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক মনোজ কুমার মঙ্গলবার বলেছিলেন যে, সহারানপুর, বাহরাইচ, ইটাওয়া, চিত্রকূট, আগরা, গৌতম বুদ্ধ নগর, মেরঠ, গাজিয়াবাদ, বুলন্দশহর, আমরোহা, মুরাদাবাদ, ললিতপুর, ঝাঁসি, বান্দা, শ্রাবস্তী, বলরামপুর, গোন্ডা, গোরক্ষপুর, মউ, বারাণসী, পিলভিট ও শাহজাহানপুরে জেলা পঞ্চায়েত চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
বিভিন্ন জেলার জেলা পঞ্চায়েত চেয়ারম্যনরা নির্বাচিত হন নির্বাচিত সদস্যদের মধ্য থেকে। গত মে মাসে রাজ্যে চার দফায় পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল। উল্লেখ্য, দলের প্রতীকে এই নির্বাচন হয় না। তা সত্ত্বেও আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ভোট ছিল বিজেপির কাছে একটা বড়সড় পরীক্ষা। পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফলে বিজেপি ধাক্কা খেয়েছিল। তাদের বহু প্রার্থীই হেরে গিয়েছিল। সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব যোগী আদিত্যনাথ সরকারের বিরুদ্ধে প্রার্থীদের ভয় দেখানো ও ভোট প্রভাবিত করার অভিযোগ করেছিলেন।