দেবেন অভিযোগ করেন, বিশেষ উড়ানে বিদেশ থেকে ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার সময় সামাজিক দূরত্ব বিধির তোয়াক্কা করেনি এয়ার ইন্ডিয়া। দেবেনের হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন আইনজীবী অভিলাষ পানিকর। অন্যদিকে, ডিজিসিএ ও এয়ার ইন্ডিয়ার হয়ে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতে দাবি করেন, করোনা সংক্রমণ রোখার জন্য় বিশেষ উড়ানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হয়েছিল এবং যাবতীয় সুরক্ষাব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। যাত্রীরা যাতে বিমানে মাঝখানের আসনে বসেন, তার জন্য সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয় এয়ার ইন্ডিয়া, অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক ও ডিজিসিএ। যাত্রীদের ত্রিস্তরীয় মাস্ক, ফেস শিল্ড দেওয়া হয়।
২৫ মে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর ডিজিসিএ-র পক্ষ থেকে বিমান সংস্থাগুলিকে বলা হয়, সব যাত্রীকে মাঝখানের আসনে বসাতে হবে। উড়ানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। বম্বে হাইকোর্টে এর আগের শুনানিতে এয়ার ইন্ডিয়ার আইনজীবী অভিনব চন্দ্রচূড়, অর্শ মিশ্র ও কবিতা অঞ্চন দাবি করেন, পূর্ব নির্ধারিত নয় এমন বাণিজ্যিক উড়ানের ক্ষেত্রে ডিজিসিএ-র নির্দেশিকা কার্যকর হয় না। ফলে বন্দে ভারত মিশনও ডিজিসিএ-র নির্দেশিকার আওতায় থাকবে না। গতকাল কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সলিসিটর জেনারেল অনিল সিংহ আদালতে আর্জি জানান, অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রককেও এই মামলায় যুক্ত করতে হবে। সেই আর্জি মেনে নিয়ে আজ সন্ধের মধ্যে সবপক্ষকে লিখিত জবাব দিতে বলেছে আদালত। আগামীকাল ফের এই মামলার শুনানি হবে।