- Home
-
খবর
-
আজ ফোকাস-এ
সোমেন মিত্রের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ, শিখা মিত্রকে ইমেল বার্তা মনমোহন সিংহের
সোমেন মিত্রের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ, শিখা মিত্রকে ইমেল বার্তা মনমোহন সিংহের
হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে গত বেশ কয়েকদিন ভর্তি ছিলেন শহরের বেসরকারি হাসপাতালে
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Last Updated:
30 Jul 2020 09:58 PM
রাজনৈতিক গুরুকে হারালাম, সোমেন-প্রয়াণে প্রতিক্রিয়া অধীরের। সোমেন ছিলেন কংগ্রেসের নিষ্ঠাবান সাহসী যোদ্ধা, প্রতিক্রিয়া সুব্রতর। সম্প্রীতির রাজনীতি করতেন, বললেন সেলিম।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে প্রয়াত নেতার স্ত্রী শিখা মিত্রকে ইমেল বার্তা পাঠিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা রাজ্যসভার কংগ্রেস সাংসদ মনমোহন সিংহ। শোকবার্তায় তিনি জানিয়েছেন, উনি রাজনীতিতে এক উচ্চ আসনে ছিলেন। দলমত নির্বিশেষে ওঁকে সকলে শ্রদ্ধা করতেন। পশ্চিমবঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন। তিনি ছিলেন দক্ষ সাংসদ ও শিয়ালদা বিধানসভা কেন্দ্রের ৭ বারের বিধায়ক। তাঁর মৃত্যুতে বাংলা এক শ্রদ্ধেয় ও কর্মনিষ্ঠ জননেতাকে হারাল।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের মৃত্যুতে ট্যুইট করে শোকপ্রকাশ করলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। ট্যুইটে তিনি লিখেছেন, বিধায়ক, সাংসদ এবং দু’বারের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে রাজ্য রাজনীতিতে সোমেন মিত্র স্থায়ী ছাপ রেখে গিয়েছেন। দৃঢ় চরিত্রের মানুষ ছিলেন। বৃহত্তর রাজনীতির ছবিটা দেখতে পেতেন। তাঁর মৃত্যুতে দীর্ঘদিনের এক বন্ধু ও সহকর্মীকে হারালেন বলে জানিয়েছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি।
সোমেন মিত্রের জন্ম ৩১ ডিসেম্বর ১৯৪১। দীর্ঘ জীবনে বঙ্গ রাজনীতির অনেক পালাবদলের সাক্ষী থেকেছেন তিনি। ১৯৭২ সালে প্রথমবার শিয়ালদা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হন। ১৯৭৭-এ ওই আসনে জেতেন জনতা পার্টির প্রার্থী বিনয় বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর আবার ১৯৮২ সালে শিয়ালদা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হন সোমেন মিত্র। সেই থেকে ২০০৬ পর্যন্ত শিয়ালদা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে টানা নির্বাচিত হন তিনি। কংগ্রেস রাজনীতির সেই ছোড়দাই ২০০৮-এ দল ছেড়ে বেরিয়ে গঠন করেন নতুন দল। নাম দেন প্রগতিশীল ইন্দিরা কংগ্রেস। ততদিনে বাংলার বিরোধী রাজনীতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের উত্থান ঘটে গিয়েছে। ২০০৯ সালে তাঁর প্রগতিশীল ইন্দিরা কংগ্রেস মিশে যায় তৃণমূলের সঙ্গে। ২০০৯-এর লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন তৃণমূলের টিকিটে। আবার ২০১৪-র জানুয়ারিতে তৃণমূল ছেড়ে ফিরে আসেন কংগ্রেসে। তার আগে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। ২০১৮-র ২২ সেপ্টেম্বর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হন সোমেন মিত্র। আমৃত্যু সেই পদেই ছিলেন তিনি।
ট্যুইট করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। তিনি ট্যুইটে লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের প্রয়াণে শোকাহত।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের আকস্মিক প্রয়াণে ট্যুইট করে শোকবার্তা জানালেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী। ট্যুইটে তিনি লিখেছেন, ‘কঠিন এই সময়ে সোমেন মিত্রের পরিবার ও বন্ধুদের ভালবাসা ও সমবেদনা জানাই। তাঁকে শ্রদ্ধা ও ভালবাসার সঙ্গে স্মরণ করব।’
আজ সকালে বেলভিউ থেকে সোমেন মিত্রর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় প্রদেশ কংগ্রেস কার্যালয় বিধান ভবনে। বেশ কিছুক্ষণ সেখানেই থাকে দেহ। সেখান থেকে বিধানসভা ভবন। তারপর বিধানসভা থেকে বাসভবন ৩ নম্বর লোয়ার রডন স্ট্রিটে দেহ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আদি বাড়ি ৪৫ নম্বর আমহাস্ট স্ট্রিটে যাবে দেহ। তারপর নিমতলা মহাশ্মশানে শেষকৃত্য হওয়ার কথা।
বিধানভবনে এসে পৌঁছল সোমেনের দেহ।
সোমেন মিত্রের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে ট্যুইট করেছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর। তিনি ট্যুইটে লিখেছেন, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের প্রয়াণে শোকাহত। একজন প্রবীণ ও শ্রদ্ধেয় নেতা। তাঁর অভাব অনুভূত হবে।
আজ সকালে বেলভিউ থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় প্রদেশ কংগ্রেস কার্যালয় বিধান ভবনে। বেশ কিছুক্ষণ সেখানেই থাকবে দেহ। সেখান থেকে বিধানসভা ভবন। তারপর বিধানসভা থেকে বাসভবন ৩ নম্বর লোয়ার রডন স্ট্রিটে। সেখান থেকে আদি বাড়ি ৪৫ নম্বর আমহার্স্ট স্ট্রিটে। তারপর নিমতলা মহাশ্মশানে শেষকৃত্য হওয়ার কথা।
সোমেন মিত্রের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রেক্ষাপট
কলকাতা: প্রয়াত হলেন বর্ষীয়াণ কংগ্রেস নেতা তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গতকাল রাতে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। কিডনি ও হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে কয়েকদিন আগে ভর্তি হন বেলভিউতে।
কয়েকদিন ধরে চিকিৎসায় সাড়াও দিচ্ছিলেন বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। আচমকাই, গতকাল রাতে অবস্থার অবনতি হয়। রাত ১টা ৫০ নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। তবে তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ।
প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রে খবর, আজ সকালে বেলভিউ থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হবে প্রদেশ কংগ্রেস কার্যালয় বিধান ভবনে। বেলা ১২টা পর্যন্ত সেখানেই থাকবে দেহ। সেখান থেকে সাড়ে ১২টায় বিধানসভা ভবন। তারপর বিধানসভা থেকে বাসভবন ৩ নম্বর লোয়ার রডন স্ট্রিটে। সেখান থেকে আদি বাড়ি ৪৫ নম্বর আমহাস্ট স্ট্রিটে। তারপর নিমতলা মহাশ্মশানে শেষকৃত্য হওয়ার কথা।
সোমেন মিত্র শিয়ালদা আসন থেকে একাধিকবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে ২০০৯ সালে সোমেন মিত্র ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতে সাংসদও হন। পরে আবার ফিরে আসেন কংগ্রেসে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হন। কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের প্রিয় ছোড়দার আকস্মিক প্রয়াণে রাজ্য রাজনীতিতে শোকের ছায়া।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের আকস্মিক প্রয়াণে ট্যুইট করে শোকবার্তা জানালেন রাহুল গাঁধী। ট্যুইটে তিনি লিখেছেন, কঠিন এই সময়ে সোমেন মিত্রের পরিবার ও বন্ধুদের ভালবাসা ও সমবেদনা জানাই। তাঁকে শ্রদ্ধা ও ভালবাসার সঙ্গে স্মরণ করব।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের মৃত্যুতে ট্যুইটে শোকবার্তা জানিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তিনি ট্যুইটে লেখেন, কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা সোমেন মিত্রের প্রয়াণে শোকাহত। সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে বিভিন্ন সময়ে তাঁর পরামর্শে তিনি যে উপকৃত হয়েছেন, তার উল্লেখ করেছেন রাজ্যপাল। সেইসঙ্গেই তিনি লিখেছেন, বাংলা তাঁর অবদানকে চিরদিন মনে রাখবে।