বেঙ্গালুরু: নাট্যজগতে নক্ষত্রপতন, প্রয়াত অভিনেতা, পরিচালক, নাট্যকার গিরিশ কারনাড। বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন তিনি। আজ সকালে নিজের বাসভবনেই মৃত্যু হয় তাঁর।

১৯৩৮ সালের ১৯ মে, মহারাষ্ট্রের মাথেরানে জন্ম হয় গিরিশ কারনাডের। ষাটের দশকে প্রথম নাট্যকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। কন্নড় ভাষায় লেখা তাঁর নাটক ইংরেজী ছাড়াও বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ হয়েছে। মঞ্চ থেকেই নিজের অভিনয় জীবন শুরু করেন গিরিশ  চারদশক ধরে বিভিন্ন নাটকে চুটিয়ে অভিনয় করেছেন। পুরাণ আর ইতিহাসের সঙ্গে সমকালীন ভাবনাকে মিলিয়ে সৃষ্টি করেছেন একের পর এক নাটক। দাপুটে এই অভিনেতা সমানতালে কাজ করেছেন হিন্দি ও দক্ষিণ ভারতীয় একাধিক ছবিতে। ১০৭০ সালে ‘সমসকারা’ ছবির মধ্যে দিয়ে প্রথম রুপোলি পর্দায় পা রাখেন তিনি।

অভিনেতা হলেও লেখক, পরিচালক নাট্যকার ও চিন্তাবিদ হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন গিরিশ কারনাড। অক্সফোর্ডের এই প্রাক্তন পড়ুয়া ১৯৯৮ সালে জ্ঞানপীঠ পুরস্কার পান। পেয়েছেন পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ, সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি, সাহিত্য অ্যাকাডেমি, কালীদাস সম্মান। চারবার ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কার পেয়েছেন গিরিশ।

‘নাগমন্ডলা’, ‘যযাতি’, ‘তুঘলক’- এর মতো সফল নাটকগুলির নাট্যকার ছিলেন গিরিশ। অভিনয় করেছেন বেশ কিছু হিন্দি ছবিতে। তাঁকে দেখা গিয়েছে ‘মালগুডি ডে’জ’ ও 'ইন্দ্রধনুষ'- এর মতো টিভি সিরিজের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকায়।

সম্প্রতি সলমন খান অভিনীত ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’ ও অজয় দেবগণ অভিনীত ‘শিবা’ ছবিতে দেখা যায় এই বর্ষীয়াণ অভিনেতাকে।

পুণের এফটিআইআইয়ের ডিরেক্টর ছিলেন গিরিশ। পরে সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যানও হন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া সংস্কৃতি মহলে।