বিশাখাপত্তনম: এল জি পলিমার্স কেমিক্যাল প্ল্যান্ট থেকে বিষাক্ত স্টাইরিন গ্যাস লিক হওয়ার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্দেশে একাধিক পরামর্শ দিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ। ট্যুইট করে জানানো হয়েছে, ‘বেশি পরিমাণে জল খেতে হবে। বাড়িতে থাকলেও ভিজে কাপড়কে মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। চোখ জ্বালা করলে ভাল করে জল দিয়ে ধুতে হবে। প্রয়োজনে আইড্রপ দিতে হবে। বমি পেলে ডোমেস্টাল ট্যাবলেট খেতে হবে। গ্যাসের প্রভাব কাটাতে দুধ-কলা ও গুড় খেতে হবে। শরীর খারাপ লাগলে ১০৮ নম্বরে ফোন করে সাহায্য চাইতে হবে।’

আজ ভোর তিনটে নাগাদ বিষাক্ত স্টাইরিন গ্যাস লিক হয়। প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১১ জন। অসুস্থ কয়েক হাজার মানুষ। বিশাখাপত্তনমের আর আর ভেঙ্কটপুরমের গোপালপত্তনমের বন্ধ এলজি পলিমার ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের দৈত্যাকার দুটি ট্যাঙ্ক থেকে লিক হয়ে যায় স্টাইরিন গ্যাস। এই রাসায়নিক কারখানা থেকে তিন কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে স্টাইরিন গ্যাস। সামান্য সতর্ক হওয়ার সুযোগটুকুও পাননি ঘুমন্ত মানুষজন। তার মধ্যেই অনেকের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়। আতঙ্কে শুরু হয়ে যায় ছোটাছুটি। ততক্ষণে ভোরের আলো ফুটে গিয়েছে। আতঙ্কে অনেকেই বাড়ির বাইরে চলে আসেন। রাস্তাতেই অনেককে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি। পাশাপাশি মৃতদের পরিবারপিছু এক কোটি টাকা আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।এছাড়াও ভেন্টিলেশনে থাকাদের জন্য ১০ লক্ষ এবং অল্প আহতদের ১ লক্ষ টাকার অর্থ সাহায্য ঘোষণা করা হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে সুরক্ষিত থাকার পরামর্শ দিয়েছে অন্ধ্র পুলিশ। পাশাপাশি দ্বিতীয় গ্যাস লিকের যে গুজব রটেছিল, ট্যুইট করে সেটিও খারিজ করে দিয়েছে পুলিশ।